ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্ম

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।


তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২৯ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৪২৯: হেরিংসের যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে ফরাসিদের পরাজয়।
১৭০০: গ্রেট নর্দান ওয়ার শুরু হয়।
১৭৮২: মাদ্রাজে ব্রিটিশ ও ফ্রান্স বাহিনীর যুদ্ধ।
১৮১৮: চিলি স্পেন থেকে স্বাধীনতা পায়।
১৮৭৭:  প্রথম টেলিফোনে সংবাদ প্রদান শুরু হয়।
১৯১২: মাঞ্চু রাজতন্ত্র উৎখাতের পর চীন প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
১৯৪৫: ইয়াল্টা সম্মেলন শেষ হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদানে একমত হয়।
১৯৬১: শুক্র গ্রহের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক ভেনেরা-১ উৎক্ষেপণ।
১৯৭০: কায়রোতে ধাতব কারখানায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০ জন বেসামরিক মিসরীয় নিহত হন।
১৯৭২: বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ইতালি।
১৯৯৬: প্যালেস্টাইন অথরিটির রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন ইয়াসির আরাফাত।
১৯৯৮: বিমান দুর্ঘটনায় সুদানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট লে. জে. আল বুজায়ের ও তথ্যমন্ত্রী ইব্রাহিম নিহত।
১৯৯৯: অভিশংসনের অভিযোগ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের অব্যাহিত।

জন্ম
১৮০৯: চার্লস ডারউইন, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী ও বিবর্তনবাদের জনক
১৮০৯: আব্রাহাম লিংকন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট
১৯০০: ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক মধু বসু
১৯১১: বিচারপতি ও বুদ্ধিজীবী সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
১৯১৯: সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ভারতের বাঙালি পদাতিক কবি
১৯৪২: এহুদ বারাক, ইসরায়েলি জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও দশম প্রধানমন্ত্রী
১৯৪৩: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। দু’টি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন— এ নিয়ে তার রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশি লেখক।

ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম মঞ্জু। তার পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়।
তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন (১৯৬৪)।

ইলিয়াসের কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর তিনি মিউজিক কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক, ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেন, গোপনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ইলিয়াস। তার লেখা প্রতিশোধ, অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোঁয়ারি, মিলির হাতে স্টেনগান, অপঘাত, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল, রেইনকোট, প্রভৃতি গল্পে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী রাজনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতা। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হলেও সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে বাকশালে যোগ দেওয়ার চাপ থাকলেও যোগ দেননি তিনি।

ইলিয়াস মাত্র দু’টি উপন্যাস লিখেছেন— চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), খোয়াবনামা (১৯৯৬)।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, ‘কী পশ্চিম বাংলা কী বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক। ইলিয়াসের পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম। ’

ইলিয়াস ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৮৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে আনন্দ পুরস্কার পান।

১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ইলিয়াসের ক্যানসার ধরা পড়ে। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

১৯৫১: চৌধুরী রহমত আলি, ব্রিটিশভারতীয়-পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদী, পাকিস্তান শব্দের প্রবক্তা

মৃত্যু
১৮০৪: জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট মৃত্যুবরণ করেন।
১৯১৬: রিচার্ড ডেডেকিন্ট, জার্মান গণিতবিদ
১৯৩৪: ব্রিটিশবিরোধী বাঙালি বিপ্লবী সূর্য সেন
১৯৪৭: মোসেস গোমবার্গ‌, ইউক্রেনীয়-আমেরিকান রসায়নবিদ ও একাডেমিক
১৯৪৯: হাসান আল-বান্না, মিশরীয় শিক্ষাবিদ, মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা
১৯৬০: অস্কার এন্ডারসন, বুলগেরীয়-জার্মান গণিতবিদ ও একাডেমিক
১৯৬১: অতুলচন্দ্র গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট আইনজীবী
১৯৭৮: শিশুসাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্র
১৯৮০: ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।