ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ফেনীতে স্ট্রিট ফুডের কদর বেড়েছে

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১
ফেনীতে স্ট্রিট ফুডের কদর বেড়েছে

ফেনী: বিশ্বের প্রায় সব বড় শহরের অলি-গলিতেই দেখা মেলে রকমারি স্ট্রিট ফুডের। স্ট্রিট ফুড শহরগুলোর পপ কালচার থেকে শুরু করে ট্রাভেল শো সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।

তবে এসবের ব্যতিক্রমী বাংলাদেশ। লোকলজ্জা, অস্বস্তি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রশ্নে স্ট্রিট ফুড জনপ্রিয় না হলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

দেশের এ ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেনীতেও ভোজনরসিক মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে ‘স্ট্রিট ফুড’।  

ফেনী পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে অস্থায়ী শতাধিক খাবারের দোকান। তুলনামূলক কম দামে বার্গার থেকে শুরু করে বিক্রি হয় নানারকম ফাস্ট ফুড। তবে চটপটি-ফুচকা, ছোলা-পেঁয়াজু আগে থেকেই পরিচিত।

স্ট্রিট ফুড নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। লোকলজ্জা পরিহার করে রাস্তার পাশে বসে-দাঁড়িয়েই এখন পরিবেশিত হয় এসব খাবার। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম ঘটে মুখরোচক খাবারের কেন্দ্রগুলোতে।

মিজান রোডস্থ সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন ‘বার্গার দোকান’-এর মালিক মো. সেলিম জানান, তার দিনে আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার বিক্রি হয়। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে বিক্রি। শুধুমাত্র ৪০ টাকা দামের চিকেন বার্গার আর চিকেন বটি কাবাব মেলে তার শপে।  

বার্গার তৈরিতে ব্যস্ত ওই দোকানের ইসমাঈল হাসিমুখে বলেন, ব্যবসাটা ভালোই চলছে। এখন এই ব্যবসা পুরো ফেনীতে ছড়িয়ে গেছে।
 
স্ট্রিট ফুডের জন্য শহরের রাজাঝির ও বিজয় সিংহ দিঘির পাড় ছাড়াও নতুন করে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে মিজান রোড। এখকান সারিবদ্ধভাবে রাস্তার পাশে টেবিল চেয়ার পেতে প্রতিদিন বিকালে বসে চটপটি ফুচকার বাহারি আয়োজন। শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতানের সামনে, স্টেশন রোড, জেল রোড, ট্রাংক রোড, ডাক্তার পাড়া, শান্তি কোম্পানি রোড, মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে জমে উঠছে সস্তা খাবারের মেলা।
 
এসব ভ্রাম্যমাণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ইদানিং এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত তরুণ থেকে শুরু করে অনেকেই।  

ময়মনসিংহ থেকে ফেনী আসার পর নোমানের জীবন সংগ্রাম সড়কের পাশে এসে ঠেকেছে! মাস্টার্স পাস করা নোমান তার মোঘল ফুড শপে (দোকান) নিজে তৈরি খাবার বিক্রি করেন। তার দোকানের সুস্বাদু ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নুডলস, বিক্রি হয় বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।  
 
রিফাত হাসান নামে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ ধরনের দোকানে অনেকটা কম দামে খাবার পাওয়া যায়। আর চোখের সামনেই খাবার তৈরি করা হয় বলে স্বস্তি লাগে। সন্ধ্যার পর বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে খাওয়া দাওয়া করার আনন্দই আলাদা। ’
 
অরূপ বণিক নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সস্তা খাবারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোয় এটি নতুন রূপ পাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১ 
এসএইচডি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।