ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১
কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর জন্ম কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২৫ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৬৭২: স্যার আইজাক নিউটন লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে তার আলোকবিদ্যার ওপর গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন।
১৯০৫: রুশ-জাপান যুদ্ধ শুরু।
১৯৪১: ৩০ বছর প্রবাসে থাকার পর হো চি মিন গোপনে ভিয়েতনামে আসেন।
১৯৭২: বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় অস্ট্রিয়া এবং সামোয়া।
২০০৫: গুগল ম্যাপের যাত্রা শুরু

জন্ম
১৮২৮: জুল ভার্ন, ফরাসি লেখক
১৮৮৩: জোসেফ শুম্পটার, প্রভাবশালী অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
১৮৮৬: উস্তাদ ফৈয়াজ খান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী
১৮৯৭: জাকির হুসেইন, অর্থনীতিবিদ ও ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি
১৯৩৪: আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ১৯৩৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালের বাবুগঞ্জের বাহেরচরের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল জব্বার খান পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পিকার ছিলেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন তিনি।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বাংলাদেশের গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের অন্যতম কবি। তার পুরো নাম আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান। তার দু’টি দীর্ঘ কবিতা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ এবং ‘বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারে অভূতপূর্ব সংযোজন। ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৮৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

কাব্যের আঙ্গিক গঠনে এবং শব্দ যোজনার বিশিষ্ট কৌশল তার স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত করে। তিনি লোকজ ঐতিহ্যের ব্যবহার করে ছড়ার আঙ্গিকে কবিতা লিখেছেন। বাক্য ভাবনা নির্মাণে মৌলিকত্ব তাকে অন্য কবিদের থেকে পৃথক করেছে। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে সাত নরী হার, কখনো রং কখনো সুর, কমলের চোখ, আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, সহিষ্ণু প্রতীক্ষা, বৃষ্টি এবং সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা, আমার সময়, আমার সকল কথা ও খাঁচার ভিতর অচিন পাখি অন্যতম।

১৯৫৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ইংরেজিতে মাস্টার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। ১৯৮২ সালে সচিব হিসেবে অবসর নেন এবং মন্ত্রীসভায় যোগ দেন। কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করে ১৯৮৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থায়। ১৯৯৭ সালে তিনি একই সংস্থা থেকে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ২০০১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৪১: জগজিৎ সিং, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক
১৯৬৩: মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, ভারতীয় ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদ
১৯৭৬ : খালেদ মাসুদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটকিপার ও অধিনায়ক।

মৃত্যু
১৮৭২: ভারতের ভাইসরয় আর্ল আফ মেয়ো আততায়ীর হাতে নিহত হন।
১৯১২: গিরিশচন্দ্র ঘোষ, ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি নট ও নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক
১৯৫৭: জন ভন নিউম্যান, হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ
১৯৬০: জন ল্যাংশ অস্টিন, ইংরেজ দার্শনিক
১৯৮৮: সন্তোষ দত্ত, প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা
১৯৯৫: ‘অগ্নিকন্যা’ কল্পনা দত্ত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী এবং মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
এফএম/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।