ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত-গার্সিয়া মার্কেজের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২১ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত-গার্সিয়া মার্কেজের জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।

০৬ মার্চ ২০২০, শুক্রবার। ২০ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এইদিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫২২- জার্মানির ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৭৯৯- নেপোলিয়ন প্যালেস্টাইনের জাফা দখল করেন।
১৮৯৯- ফলিক্স হফম্যান অ্যাসপিরিন প্যাটেন্ট করেন।
১৯০২- ব্রিটিশ সেনারা দায়িত্ব পালনকালে চশমা ব্যবহারের অধিকার পায়।
১৯৩০- লন্ডনে প্রথম হিমায়িত খাদ্য বিক্রি শুরু হয়।
১৯৫৬- মরক্কো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে।
১৯৫৭- ডক্টর কাওয়াম নকরোমোর নেতৃত্বে ঘানা স্বাধীনতা লাভ করে।

জন্ম
১৪৭৫- ইতালিয়ান ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মিকেলাঞ্জেলো।

তার পুরো নাম মিকেলেঞ্জেলো দি লোদোভিকো বুওনারোত্তি সিমোনি। তার বৈচিত্র্যময়তার কারণে তাকে রেনেসাঁমানব বলা হয়। ইতিহাসে তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে ধরা হয়। তার সবচেয়ে পরিচিত কাজ হলো পিয়েতা এবং ডেভিড। স্থপতিবিদ হিসেবেও তার উল্লেখযোগ্য কীর্তি রয়েছে। ম্যানেরিস্ট ধারার অগ্রপথিক বলা হয় তাকে। তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড, বিভিন্ন ধরনের পুরুষ প্রতিকৃতি, ফিগার কম্পোজিশন ও মৃত্যু বিষয়ক চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য।

১৫০৮- দ্বিতীয় মুঘল সম্ৰাট হুমায়ুন।

তার পুরো নাম নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট, যিনি ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দ এবং ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দুই দফায় আধুনিক আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের উত্তরাঞ্চ রাজত্ব করেছেন। তিনি এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের পুত্র। তিনি তার বাবা বাবরের মতোই তার রাজত্ব হারিয়েছিলেন, কিন্তু পারস্য সাম্রাজ্যের সহায়তায় পরিনামসরুপ আরও বড় রাজ্য পেয়েছিলেন।

১৭৮৭- জার্মান আলোকবিজ্ঞানী ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার।
১৮০৬- ব্রিটিশ কবি এলিজাবেথ বেরেট ব্রাউনিং।
১৮১২- বাঙালি কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

তিনি ‘গুপ্ত কবি’ নামে সমধিক পরিচিত। তার হাত ধরেই মধ্যযুগের গণ্ডি পেড়িয়ে বাংলা কবিতা আধুনিকতার পথে নাগরিক রূপ পেয়েছিল। তার ছদ্মনাম ছিল ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাকে ‘খাঁটি বাঙালি কবি’ বলে অবহিত করেছেন। রামপ্রসাদ সেন কৃত কালীকীর্তন (১৮৩৩), কবিবর ভারতচন্দ্র রায় ও তার জীবনবৃত্তান্ত (১৮৫৫), বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত কাব্যসংগ্রহ (১৮৯২) তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। এছাড়াও বহুবিধ পত্র-পত্রিকা তিনি সম্পাদনা করেছেন। ১৮৫৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
 
১৯২৭- কলম্বিয়ার নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।

তিনি গাবো নামে পরিচিত। ১৯৮২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। নিঃসঙ্গতার একশ বছর বইয়ের লেখক হিসেবে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। বিশ্ববিখ্যাত এ ঔপন্যাসিক বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রভাবশালী লেখক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। জীবনের শেষ দুই যুগ তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচেছিলেন। এ সময় তার লেখালেখি কমে আসে।

মৃত্যু
১৯০০- জার্মান আবিষ্কারক জি. ডায়মলার।
১৯০০- ব্রিটিশ রসায়নবিদ জন ডালটন।
১৯৬২- ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী অম্বিকা চক্রবর্তী।
১৯৭১- মার্কিন ঔপন্যাসিক পার্ল এস বাক।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।