ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

সত্যেন্দ্রনাথের জন্ম, মুজতবা আলীর প্রয়াণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
সত্যেন্দ্রনাথের জন্ম, মুজতবা আলীর প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার। ২৮ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৫৫৬- সম্রাট আকবর মুঘল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
•    ১৭৫২- যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে পেনসিলভানিয়া হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন।
•    ১৭৯৪- যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের প্রথম অধিবেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
•    ১৯১৬- জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ায় ইমা গোল্ডম্যান গ্রেফতার।
•    ১৯১৯- জার্মানির প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসপিডি দলের ফ্রেডরিক এবার্ট নির্বাচিত।
•    ১৯৫৩- ইসরায়েলের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন।
•    ১৯৫৩- গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে সাইপ্রাসের লিমাসোলে যুদ্ধ শুরু।
•    ১৯৬৪- ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তাইওয়ান।
•    ১৯৭৮- চীন সরকার অ্যারিস্টটল, শেক্সপিয়ার এবং ডিকেন্সের ওপর গবেষণা নিষিদ্ধ করে।
•    ১৯৭৯- আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা।

জন্ম
•    ১৮৪৭- মার্কিন উদ্ভাবক এবং ব্যবসায়ী টমাস আলভা এডিসন।
•    ১৮৮২- বাঙালি কবি ও ছড়াকার সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।

কলকাতার নিকটবর্তী নিমতা গ্রামে তার জন্ম। তার পিতা রজনীনাথ দত্ত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্ত ছিলেন তত্ত্ববোধিনী  পত্রিকার সম্পাদক।

সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন ভারতী পত্রিকাগোষ্ঠীর অন্যতম বিশিষ্ট কবি। প্রথম জীবনে তিনি  মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ সেন, অক্ষয়কুমার বড়াল প্রমুখের দ্বারা প্রভাবিত হন। পরে রবীন্দ্রানুসারী হলেও তিনি কবিস্বভাবে হয়ে ওঠেন স্বতন্ত্র। তিনি নানা ছন্দ উদ্ভাবনে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। বাংলা ভাষার নিজস্ব বাগধারা ও ধ্বনি সহযোগে নতুন ছন্দসৃষ্টি তার কবিপ্রতিভার মৌলিক কীর্তি। এজন্য তিনি ‘ছন্দের জাদুকর’ ও ‘ছন্দোরাজ’ নামে সাধারণ্যে পরিচিত। ১৯১৮ সালে ভারতী পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় ছন্দ সম্পর্কিত তার প্রসিদ্ধ রচনা ‘ছন্দ-সরস্বতী’ প্রকাশিত হয়। বাংলা শব্দের সঙ্গে আরবি-ফারসি শব্দের সমন্বিত ব্যবহার দ্বারা বাংলা কাব্যভাষার শক্তি বৃদ্ধির প্রাথমিক কৃতিত্ব তারই।

তার অপর কৃতিত্ব বিদেশি কবিতার সফল অনুবাদ। আরবি, ফারসি, চীনা, জাপানি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার বহু কবিতা অনুবাদ করে তিনি বাংলা সাহিত্যের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধি সাধন করেন।

•    ১৯১৫- মার্কিন গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী রিচার্ড হ্যামিং।

মৃত্যু
•    ৬৪১- বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হেরাক্লিউস।
•    ১৯৪৮- রুশ চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক সের্গে আইজেনস্টাইন।
•    ১৯৭৪- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী।

১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটে তার জন্ম। তিনি ভ্রমণকাহিনীর জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একইসঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট। তিনি ‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমন- দেশ, আনন্দবাজার, বসুমতী, সত্যযুগ, মোহাম্মদী ইত্যাদিতে কলাম লিখেন। বিভিন্ন ভাষা থেকে শ্লোক ও রূপকের যথার্থ ব্যবহার, হাস্যরস সৃষ্টিতে পারদর্শিতা এবং এর মাধ্যমে গভীর জীবনবোধ ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাকে বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। তার একটি বিখ্যাত উক্তি হল, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।