ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

নবীনচন্দ্রের জন্ম, পুশকিনের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
নবীনচন্দ্রের জন্ম, পুশকিনের প্রয়াণ আলেক্সান্দর পুশকিন (বামে) ও নবীনচন্দ্র সেন (ডানে)

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার। ২৭ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৯৭৪- স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি শুরু হয়।
১৯৯৬- আইবিএম সুপার কম্পিউটার ডিপ ব্লু  প্রথমবারের মতো দাবা খেলায় গ্র্যান্ডমাস্টার গ্যারি কাস্পারভকে পরাজিত করে।
১৯৯৮- শান্তিবাহিনীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম অস্ত্র সমর্পণ।

জন্ম
১৮৪৭- বাঙালি কবি নবীনচন্দ্র সেন।

চট্টগ্রামের এক প্রসিদ্ধ জমিদার পরিবারে তার জন্ম। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি কবিতা রচনা শুরু করেন। তার প্রথম কাব্যসংকলন অবকাশরঞ্জিনী প্রকাশিত হয় ১৮৭১ সালে। ১৮৭৫ সালে তার পলাশীর যুদ্ধ মহাকাব্য প্রকাশিত হলে তিনি ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন। রৈবতক (১৮৮৭), কুরুক্ষেত্র (১৮৯৩) ও প্রভাস (১৮৯৬) কাব্যত্রয়ী নবীনচন্দ্রের কবিপ্রতিভার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। নবীনচন্দ্রের আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- আমার জীবন, খৃস্ট, ক্লিওপেট্রা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র ইত্যাদি। তিনি ভগবদ্গীতা ও চণ্ডীর কাব্যানুবাদ করেন। তার আত্মজীবনী আমার জীবন গ্রন্থখানি উপন্যাসের মতো সুখপাঠ্য এবং সমকালীন সমাজ, রাজনীতি ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্য দলিল। স্বাজাত্যবোধ ও স্বদেশানুরাগ তার কাব্যের মৌলিক আবেদন। ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

১৮৯০- নোবেলজয়ী রুশ সাহিত্যিক বরিস পস্তেরনক।
১৮৯৪- যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৭-১৯৬৩) হ্যারল্ড ম্যাকমিলান।
১৮৯৮- খ্যাতিমান জার্মান নাট্যকার বের্টল্ট্ ব্রেখ্ট।
১৯৫০- মার্কিন সাঁতারু মার্ক স্পিটজ্।

মৃত্যু
১৭৫৫- ফরাসি দার্শনিক ব্যারন দ্য মঁতেস্কু।
১৮৩৭- রুশ কবি ও ঔপন্যাসিক আলেক্সান্দর পুশকিন।

অনেকেই তাকে রাশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি এবং আধুনিক রুশ সাহিত্যের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পুশকিন সর্বপ্রথম তার কবিতা এবং নাটকে ভার্নাকুলার বাচনভঙ্গি ব্যবহার শুরু করেন। এটি গল্প বলার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে রোমান্টিকতার মাধ্যমে বিশেষ এক অভিব্যাক্তি প্রকাশ করা হয়। রুশ সাহিত্যে এটি ছিল একেবারেই নতুন এবং এই পদ্ধতিটি পরবর্তী লেখকদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে।

১৯২৩- জার্মান পদার্থবিদ উইলিয়াম কনরাড রন্টজেন।
১৯৩০- বাঙালি ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।
২০০৫- মার্কিন নাট্যকার, প্রবন্ধকার এবং লেখক আর্থার মিলার।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।