ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

সর্বকনিষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্ম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
সর্বকনিষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্ম বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রোববার। ১৯ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮১৪- কলকাতায় ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮১৭- শিক্ষা ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চার্চ মিশনারি সোসাইটির প্রথম শাখাটি কলকাতায় স্থাপিত হয়।
১৮৬২- শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন।
১৯১৩- নিউইয়র্ক সিটির গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল চালু হয়।
১৯৮৯- সত্যজিৎ রায়কে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান ‘লিজিয়ন ডি অনার’ দেওয়া হয়।

জন্ম
১৬৫০- পোপ ত্রয়োদশ বেনেডিক্ট।
১৮৮২- আইরিশ লেখক ও কবি জেমস জয়েস।
১৮৮৬- মার্কিন কবি ও লেখক উইলিয়াম রোজ বেনেট।
১৯১৫- ভারতীয় সাংবাদিক ও বিখ্যাত রম্যলেখক খুশবন্ত সিং।
১৯৩৬- বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুমিতা দেবী।

তার জন্ম মানিকগঞ্জ জেলায়। ১৯৫০ দশকের শেষ দিকে তিনি ছিলেন ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম নায়িকা। ‘আসিয়া’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবনের সূচনা ঘটে তার। পরবর্তী ছবি ছিল ‘আকাশ আর মাটি’। প্রধান চরিত্রে তার অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশটি। বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। কখনো আসেনি, সোনার কাজল, কাচের দেয়াল, এই তো জীবন, দুই দিগন্ত, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, অভিশাপ, ওরা এগারো জন, সুজন সখী, আমার জন্মভূমি ইত্যাদি তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৫৩- বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তার মধ্যে তিনি অন্যতম। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান ওই সাতজনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী হানাদারবাহিনীর একটি আউটপোস্ট দখলের জন্য প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সি কোম্পানির হয়ে অপারেশনে অংশ নেন হামিদুর রহমান। মুক্তিবাহিনী আউটপোস্টটির খুব কাছাকাছি পৌঁছালেও শত্রুর ভারী মেশিনগানের গুলিবর্ষণে আর অগ্রসর হওয়া যাচ্ছিল না। তখন মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড চার্জের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় কম বয়সী হামিদুর রহমানকে। তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড চার্জ করেন। দু’টি গ্রেনেড টার্গেটে আঘাত হানে। কিন্তু তা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ অবস্থাতেই তিনি দু’জন পাকিস্তানি সৈন্যের সঙ্গে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন। হামিদুর রহমানের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের কারণে সেদিন মুক্তিবাহিনী শত্রুকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

১৯৬৮- বাংলাদেশি ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম।

১৯৭৭- কলম্বিয়ান গায়িকা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত প্রযোজক, নৃত্যশিল্পী ও জনহিতৈষী শাকিরা।

কলম্বিয়ার বার্রানকিলাতে তার জন্ম। কলম্বিয়ার স্থানীয় প্রযোজকদের সহায়তায় শাকিরার প্রথম দুইটি অ্যালবাম প্রকাশ পায়, কিন্তু সেগুলো কলম্বিয়ার বাইরে খুব একটা পরিচিতি পায়নি। তাই তিনি নিজেই নিজের অ্যালবাম প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে তার নিজস্ব প্রযোজনায় প্রকাশ পায় অ্যালবাম ‘পিয়েস দেসকালসোস’। এটি তাকে লাতিন আমেরিকা ও স্পেনে খ্যাতি এনে দেয়। এরমাধ্যমে তিনি একজন রহস্যময় সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন। তার অ্যালবাম বিশ্বব্যাপী পাঁচ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। তিনি দুইবার গ্র্যামি পুরস্কার ও সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছেন। গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। বিএমআইয়ের তথ্যানুসারে শাকিরা কলম্বিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে বেশি অ্যালবাম বিক্রিত শিল্পী।

১৯৩৯- বাংলাদেশি গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ষাটের দশকে আবির্ভূত এ কথাসাহিত্যিক তার সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের বর্ণনা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধান অনুষঙ্গ। হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৯৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

১৯৫৬- তুরস্কের তাত্ত্বিক ও লেখক আদনান ওকতার।
১৯৪৪- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী মো. আলী সিদ্দীকী।

মৃত্যু
১৪৪৮- মিশরীয় আইনবিদ ও পণ্ডিত ইবনে হাজার আল-আসকালানি।
১৭৬৯- পোপ ত্রয়োদশ ক্লেমেন্ট।
১৭১৪- ব্রিটিশ আর্চবিশপ জন শার্প।
১৮০৪- মার্কিন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, জর্জিয়ার গভর্নর জর্জ ওয়ালটন।
১৯০৭- রুশ রসায়নবিদ দিমিত্রি মেন্দেলেভ।
১৯৩৬- বাঙালি সাহিত্যিক ও সমালোচক বিপিনবিহারী গুপ্ত।
১৯৫৮- ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও দেশটির প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
১৯৬৪- বাঙালি ফুটবলার সৈয়দ আবদুস সামাদ।
১৯৭০- ইংরেজ গণিতজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, লেখক এবং নোবেলজয়ী সাহিত্যিক বারট্রান্ড রাসেল।
২০০৬- বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
টিএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।