ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

শহিদ তিতুমীর-সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
শহিদ তিতুমীর-সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৯ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার। ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা

১৮৬৩- মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গেটিসবার্গে তার বিখ্যাত স্বাধীনতার ভাষণ দেন।

১৯৪২- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্তালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।

১৯৮২- দিল্লিতে নবম এশিয়ান গেমস শুরু হয়।

 

জন্ম

১৮০৫- সুয়েজখালের নকশাকার ফরাসি প্রযুক্তিবিদ ভিকঁৎ ফ্যের্দিনা মারি দ্যা ল্যেসেপস।

১৯১৭- ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

১৯২৩- ভারতীয় সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার সলিল চৌধুরী।

 

মৃত্যু

১৮৩১- ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা শহীদ তিতুমীর।

তার প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। তিনি জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও তার বাঁশের কেল্লার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের চাঁদপুর গ্রামে তার জন্ম। তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগনা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্থানীয় জমিদারদের নিজস্ব বাহিনী এবং ব্রিটিশ বাহিনী তিতুমীরের হাতে বেশ কয়েকবার পরাজিত হয়। পরে ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি।

১৯৮৮- প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান।

১৯২৮ সালে পুরান ঢাকার ইসলামপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিমাখা শহীদ মিনারের নকশা করেন হামিদুর রহমান। শিল্পচর্চায় অবদানের ফলে তিনি দেশে-বিদেশে পুরস্কৃত ও সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৭২ সালে মাদার অ্যান্ড স্মোক চিত্রের জন্য তিনি ‘ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব বাংলাদেশি পেইন্টার্স’ থেকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ সালে হামিদুর রহমান একুশে পদক লাভ করেন।

১৯৮৯- মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর এমএ জলিল।

২০০৭- সাংবাদিক, সংগীতশিল্পী ও দলছুট ব্যান্ডের গায়ক সঞ্জীব চৌধুরী।

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জন্ম নেওয়া সঞ্জীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে কাজ করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মীও ছিলেন সঞ্জীব। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘আমি ফিরে পেতে চাই’, ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’ ও ‘অপেক্ষা’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।