ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততায় জামদানি পল্লি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৯ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৮
ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততায় জামদানি পল্লি ছবি: শাকিল আহমেদ

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদাকে মাথায় রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ার জামদানি পল্লির কারিগররা।

বর্ণিল, নিপুণ সূক্ষ্ম হাতে জামদানি পল্লির কারিগরদের সীমাহীন ব্যস্ততা সময়ের চিত্র তুলে ধরেছেন বাংলানিউজের স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট শাকিল আহমেদ। ..যেকোনো কাপড় তৈরির ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান সুতা।

জামদানিপল্লিতে সুতা এখানে তৈরি করা হয় না। সুতা কিনে আনা হয় বাইরে থেকে। ছবি: শাকিল আহমেদরঙভেদে বিভিন্ন শাড়ির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রঙ মেশানোর পালা চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে। একবারে রঙ সঠিকভাবে না আসলে তখন আবার রঙ করতে শুরু থেকে। ছবি: শাকিল আহমেদসুতায় রঙ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় রঙে ভেজানো সুতা শুকানোর ক্ষেত্রে। অনেক সময় বৃষ্টির কারণে তাদের এই কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়ছবি: শাকিল আহমেদসুতা শুকানোর পর শুরু হয় নির্দিষ্ট চর্কিতে চলে সুতা প্যাঁচানোর কাজ। অভাব তাড়াতে জামদানি বুননের কাজ করছে শতাধিক শিশু। শিশু শ্রমিকদের মজুরিও কম। ছবি: শাকিল আহমেদনির্দিষ্ট চর্কিতে প্যাঁচানো সুতা এরপর সংযুক্ত করা কাপড় তৈরির বিম (মূল যন্ত্রের অংশ) সঙ্গে। যা সম্পূর্ণ হাত ও পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নির্দিষ্ট রঙের বিম থেকে সুতা টেনে টেনে হাতে তাঁতের মাকু নিয়ে সুতার আটকানোর কাজ চলে। সঙ্গে চলে পা নিয়ন্ত্রিত প্যাডেল। এভাবে চলে মূল কাপড় বোনা। এখানেও ছবিতে প্রদর্শিত শিশুশ্রম।  ছবি: শাকিল আহমেদমূল কাপড় তৈরি করার পর নিখুঁত হাতে চলে সুতা দিয়ে কারুকার্য সেলাইয়ের কাজ। এই কাজটি অনেক ধৈর্য সঙ্গে করতে হয় একজন কারিগরকে। ছবি: শাকিল আহমেদপারিশ্রমিকের বিষয়টি পরিষ্কার থাকলেও এই হস্তশিল্পীদের উপার্জন খুবই কম। কাপড়ের মূল্য কারিগররা বিক্রি হওয়া শাড়ির দাম থেকে শাড়ি বানানোর খরচ বাদ দিয়ে মালিকের সঙ্গে বাকি টাকার অর্ধেক অংশ ভাগ করে নেয়। আর এই কারিগরদের সহযোগিরা (শিশুশ্রমিকরা) এককালীন বাৎসরিক বেতন ও প্রতিদিনের তিনবেলা খাবার পায়।  

ছবি: শাকিল আহমেদনোয়াপাড়ার জামদানি পল্লির একজন মালিক মো. ইসমাইল হোসেন দেখাচ্ছেন সম্পূর্ণ তৈরি করা শাড়ি। রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্রেতারা ওই শাড়িটি কিনে নিয়ে যাবেন তিন হাজার টাকা দরে। কিন্তু ক্রেতারা কত দামে পাবে তার নেই কোনো নির্দিষ্টতা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।