ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বৃষ্টি দেবতার নামে মানব শিশু বলি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
বৃষ্টি দেবতার নামে মানব শিশু বলি! বৃষ্টি দেবতার নামে মানব শিশু বলি!

ঢাকা: সম্প্রতি এক ভয়াবহ সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কার করেছেন উত্তর পেরুর একদল নির্মাণকর্মী। সমাধিতে পাওয়া যায় ১২ শিশুসহ ৪৭ ব্যক্তির দেহাবশেষ। শিশুগুলোকে প্রায় ১৫শ বছর আগে বৃষ্টি দেবতার নামে বলি দেওয়া হয়েছিল।

সমাধিগুলো আবিষ্কৃত হয় পেরুর উপকূলবর্তী শহর হুয়ানকাকোতে। মাটির নিচে পানির পাইপ বসানোর সময় বেশ কিছু হাড়ের সন্ধান পান সেখানকার নির্মাণকর্মীরা।

তাই খবর দেওয়া হয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের। এরপর খনন কাজ চালিয়ে সেখানে মোট ৭৭টি সমাধির সন্ধান মেলে। পাশাপাশি পাওয়া যায় ১১৫টি পাত্র যা চিমু সভ্যতার নিদর্শন বলে জানান প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

শিশুদের দেহাবশেষ পরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, এদের পাঁজর বিশেষভাগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের বুক থেকে হৃদপিণ্ড বের করে ফেলা হয়েছিল। শিশুদের মধ্যে একটি নবজাতক ছিল এবং তাকেও একইভাবে দেবতার নামে বলি দেওয়া হয়।

এ গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক দলের সদস্য ভিক্টর ক্যাম্পানা লিওন বলেন, শিশুদের হাড়ে কিছু বিশেষ ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে, যা দেখে ধারণা করা যায় শুষ্ক প্রধান এ অঞ্চলে বৃষ্টির প্রত্যাশায় দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এদের বলি দেওয়া হয়।

গবেষকরা মনে করেন, এ আবিষ্কারটি প্রাচীন সভ্যতায় মানুষ বলি দেওয়ার একটি উল্লখযোগ্য প্রমাণ। এর আগেও প্রত্নতাত্ত্বিকরা ইনকা, মায়া ও অ্যাজটেক সভ্যতায় মানুষ বলি দেওয়ার বেশ কিছু নিদর্শন উন্মোচন করেছেন। প্রাচীন রোম, চীন ও জাপানি সভ্যতায়ও দেবতাকে সন্তুষ্ট করাসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ বলি দেওয়া হতো।

চিমু সভ্যতার সময়কাল ৯০০ থেকে ১৪৭০ সাল পর্যন্ত। ইনকাদের আক্রমণে এ সভ্যতার পতন ঘটে। মৃৎশিল্প, কাপড় বোনা, কৃষিকাজে চিমুরা খুবই দক্ষ ছিল। এ সভ্যতার রাজধানী ‘চান চান’কে নগর পরিকল্পনার মাস্টারপিস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইউনেস্কো।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।