ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

লবণ চাষ যেভাবে (ফটোস্টোরি)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৮
লবণ চাষ যেভাবে (ফটোস্টোরি) জমিতে লবণ চাষ। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: কক্সবাজার জেলার অধিকাংশ লবণ চাষ হয় মহেশখালী উপজেলায়। কারণ অন্য এলাকার চেয়ে এ উপজেলায় সমুদ্রের লোনা পানির ঘনত্ব একটু বেশি থাকে। তাইতো মহেশখালী লবণ চাষ জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর রোডের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গোরকঘাটা ছোট নদী।

জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখ এ নদী ঘেঁষে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ করা হয় লবণ। জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখসমুদ্র থেকে বয়ে আসা পানি গোরকঘাটা নদী হয়ে গ্রামে প্রবাহিত হয়। জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখআর সেই সমুদ্রের লোনা পানি জমিয়ে রাখার জন্য নদীর পাশেই জমি কেটে খাল তৈরি করেছেন লবণচাষিরা। জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখগোরকঘাটা নদী থেকে সরাসরি নাসি ( কালভার্ট ) কেটে খালে প্রবেশ করানো হয় পানি। আর এভাবেই খালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয় সমুদ্রের লোনা পানি। জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখসমতল জমিকে চারপাশে মাটির ছোট আইল (মাটি দিয়ে উঁচু করে বেড়ার মত) দিয়ে ছোট প্লট আকৃতির জায়গা বানানো হয়। এরপর লবণ চাষিরা তাদের তৈরি খাল থেকে সংগ্রহ করা পানি ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে টেনে প্রথম ভাগের প্লটটি ভর্তি করে দেয়। জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখপ্রথম ভাগের প্লটে পুরোপুরিভাবে একদিন রোদে রাখার পর সেই পানিকে দ্বিতীয় প্লটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তেমনিভাবে দ্বিতীয় প্লটেও একদিন রাখার পর তা তৃতীয় প্লটে পাঠানো হয়। আর এভাবেই ধাপে ধাপে চার থেকে পাঁচদিন ধরে কড়া রোদে রাখার পর পানি বাষ্পীভূত হয়ে চলে যায় এবং পঞ্চম প্লটেই লবণ জমে থাকে পলিথিনের ওপর। পরে জমে থাকা লবণগুলোকে এক সঙ্গে করে প্লটের পাশেই রাখা হয় বস্তায় ভরার অপেক্ষায়। জমিতে লবণ চাষ।  ছবি: সুমন শেখলবণের মাঠে গিয়ে কথা হয় চাষি আব্দুল সাত্তারের সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তিনি বিশ বছরের বেশি সময় ধরে লবণ চাষ করে আসছেন। এ জেলায় প্রাকৃতিক উপায়েই এভাবে লবণ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এজন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয় চাষিদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।