ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিন

হাওড়া-বর্ধমান রেলপথ যাত্রা ও নন্দলাল বসুর জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭
হাওড়া-বর্ধমান রেলপথ যাত্রা ও নন্দলাল বসুর জন্ম হাওয়া-বর্ধমান রেলপথ যাত্রা ও নন্দলাল বসুর জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জী মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, শুক্রবার। ২১ মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৫৫- লর্ড ডালহৌসি হাওড়া-বর্ধমান রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
১৯২৭- হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ ও পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বসুমতী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৯৭- বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কলকাতা পুস্তকমেলা ভষ্মীভূত হয়।

জন্ম
১৮৭৩- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক।
১৮৮৩- ঊর্মিলা দেবী, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী নেত্রী ও লেখিকা।
১৮৮৩- নন্দলাল বসু, ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী।
তিনি কর্মজীবনের শুরুতে পাটনা, রাজগির, বুদ্ধগয়া, বারাণসী, দিল্লী, আগ্রা, মথুরা, বৃন্দাবন, এলাহাবাদ ভ্রমণ করে উত্তর ভারতের শিল্প ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হন। প্রায় একই সময়ে পুরী থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত প্রায় সমগ্র দক্ষিণ ভারত ভ্রমণ করেন এবং কোণারকের সূর্য মন্দির তাকে প্রভাবিত করে। ১৯২১ সালে তিনি বাঘ গুহার নষ্ট হয়ে যাওয়া চিত্রগুলো পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ভগিনী নিবেদিতার হিন্দু-বৌদ্ধ পুরাকাহিনী বইটির অঙ্গসজ্জা করেন এবং ঠাকুর বাড়ির চিত্রকলার তালিকা তৈরিতেও সাহায্য করেন। ১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত বিচিত্রা সংঘে তিনি শিল্পকলার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩৫-৩৭ সালে পর পর তিন বছর তিনি কংগ্রসের বার্ষিক সম্মেলনে শিল্প প্রদর্শনী ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত হরিপুরা সম্মেলনে তিনি লোকচিত্রের ধারাবাহী ৮৩টি পট প্রদর্শন করেন যা হরিপুরা পট নামে খ্যাত। ১৯৪৩ সালে তিনি বরোদার মহারাজের কীর্তিমন্দির অলঙ্কৃত করার দায়িত্ব লাভ করেন। এই কীর্তিমন্দিরের চারিদিকের এবং শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতনের দেয়ালচিত্র নন্দলাল বসুকে খ্যাতিমান করে তুলে। ভারতীয় সংবিধানের সচিত্র সংস্করণও নন্দলাল বসু অলংকৃত করেন। তার আঁকা ছোট ছোট ছবিগুলোতেও তার প্রতিভার এবং স্বাতন্ত্রের পরিচয় মেলে। শেষ জীবনে নন্দলাল বসু তুলি-কালি এবং ছাপচিত্রের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হন এবং এক্ষেত্রে সাফল্যের পরিচয় দেন। তিনি ১৬ এপ্রিল, ১৯৬৬ সালে ৭৯ বছর বয়সে মারা যান।

মৃত্যু
১৯২৪- উড্রো উইল্‌সন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম রাষ্ট্রপতি।
১৯৩৫- ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবী (ফাঁসি হয়েছিল)।
১৯৬৫- ফুটবল জাদুকর আবদুস সামাদের মৃত্যু।
১৯৭০- লেখক দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের মৃত্যু।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।