ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও নীলিমা ইব্রাহিমের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও নীলিমা ইব্রাহিমের জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

 

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

 

১১ অক্টোবর ২০১৬, মঙ্গলবার। ২৬ আশ্বিন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৫০৩ - দ্বিতীয়বার ভারত ভ্রমণ শেষে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা মোজাম্বিকের তাগুসে উপস্থিত হন।
•    ১৭৩৭ – কলকাতায় একসঙ্গে আঘাত হানা ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ে তিন লাখ লোকের প্রাণহানি হয়।
•    ১৮৭১ - যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে তিনশ’ মানুষের প্রাণহানি হয়। পুড়ে যায় নগরীর ৩.৩ বর্গকিলোমিটার।
•    ১৮৯৯ - উপনিবেশ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি গড়া ডাচদের সঙ্গে ব্রিটিশদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বাঁধে।
•    ১৯৩৭ - সাংহাইয়ে চীন ও জাপানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হয়। এই লড়াইয়ে দু’পক্ষের বিপুল সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়।
•    ১৯৯১ - সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার কিছু আগে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা কেজেবির তৎপরতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ব্যক্তি
•    ১৮৭১ - পুঁথি সংগ্রাহক ও লেখক আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের জন্ম। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডী গ্রামে জন্ম নেওয়া আবদুল করিম প্রথম জীবনেই সাহিত্যবিষয়ক নিবন্ধ রচনা শুরু করেন। সারাজীবন তিনি প্রাচীন বাংলা পাণ্ডুলিপি (পুঁথি) সংগ্রহ করেন। ১৯২০-২১ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ তার রচিত বাংলা পুঁথির তালিকা ‘বাঙালা প্রাচীন পুথির বিবরণ’ শিরোনামে দু’খণ্ডে প্রকাশ করে। তার সংগৃহীত পুঁথির বেশির ভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে রয়েছে। আবদুল করিম এগারোটি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। তার সংগৃহীত মুসলমান কবিদের রচিত পাণ্ডুলিপিগুলো থেকে জানা যায়, সেকালের মুসলিম মনীষীরা বাংলা সাহিত্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। দৌলত কাজী, আলাওল, সৈয়দ সুলতান, মুহম্মদ খান প্রমুখ শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবিদের অন্যতম বলে গণ্য। যাঁদের নাম ও রচনা সম্পর্কে আগে কিছুই জানা যায়নি এমন প্রায় একশ জন মুসলমান কবিকে তিনি সাধারণ্যে পরিচিত করেন। এমনসব অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে ‘সাহিত্যসাগর’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী তাকে ‘সাহিত্যবিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করে।

•    ১৮৭৭ - সাহিত্যিক সমালোচক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম।
•    ১৮৮৫ - নোবেলজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াকের জন্ম।
•    ১৯১৯ - নোবেলজয়ী ড্যানিশ সাহিত্যিক কার্ল অ্যাডলফ ইয়েলেরুপের মৃত্যু।
•    ১৯২১ - শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী নীলিমা ইব্রাহিমের জন্ম। বাগেরহাটের ফকিরহাটে জন্ম নেওয়া নীলিমা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ইন্ডিয়ান আর্মি মেডিকেল কোরের ক্যাপ্টেন ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে নীলিমা ইব্রাহিম কলকাতার লরেটো হাউজ, ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের লেকচারার ছিলেন। ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপকও। তিনি  বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ ও নারী-উন্নয়সংস্থা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সঙ্গে যু্ক্ত ছিলেন। নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে বিশ শতকের মেয়ে, এক পথ দুই বাঁক, কেয়াবন সঞ্চারিণী, বহ্নিবলয়; দুয়ে দুয়ে চার, যে অরণ্যে আলো নেই, রোদ জ্বলা বিকেল, সূর্যাস্তের পর এবং আমি বীরাঙ্গনা বলছি (কথানাট্য)। তিনি সমাজকর্ম ও সাহিত্যে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য জিতেছেন একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।

•    ১৯৩৮ - বাংলা বিশ্বকোষের প্রথম প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব বসুর মৃত্যু।
•    ১৯৪২ - ভারতীয় চলচ্চিত্রাভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের জন্ম।
•    ১৯৯১ - বিশিষ্ট সহিত্যিক, গবেষক ও অনুবাদক গোলাম সামদানী কোরায়শীর মৃত্যু।
•    ১৯৯৬ - নোবেলজয়ী কানাডীয় অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম ভিখর মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।