ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

৩০ টাকায় পোলাও-বিরিয়ানি

সুকুমার সরকার, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
৩০ টাকায় পোলাও-বিরিয়ানি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পোলাও-বিরিয়ানির দাম ৩০ টাকা শুনে একটু ঘাবড়ে গেলেন নাকি! মোহাম্মদ মোস্তফার কাছে সবই সম্ভব। শুধু পোলাও-বিরিয়ানি নয়, ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে মিলবে সুস্বাদু তেহারিও।

রাজধানীর মতিঝিলের দৈনিক বাংলা মোড় থেকে ১৬ তলা ভবনের সামনে রাস্তা দিয়ে (ডানে পেট্রোল পাম্প) ফকিরাপুল ঢোকার মুখে লোহার গেটের পাশে প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিন পদের বিরিয়ানির বিশাল ডেকচি নিয়ে বসেন পঞ্চাশোর্ধ মোহাম্মদ মোস্তফা।

তার দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেই নাকে আসবে বিরিয়ানির সুঘ্রাণ। গত দশ বছর ধরে তিনি ফকিরাপুলে ঢোকার তিন পদের বিরিয়ানির ডেকচি নিয়ে বসেন। বিক্রি হয় দেদারসে।

বাংলানিউজকে তিনি জানান, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া প্রতিদিনই এখানে পসরা সাজিয়ে বসেন। প্রতিদিন তার বিক্রির পরিমাণ আড়াইশ থেকে তিনশ প্লেট।

তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আসতে না পারলে মনটা বেদনায় ভরে যায়। নানা ধরনের মানুষ তার কাস্টমার। শুধু ব্যবসা নয়- খাওয়ার পর খদ্দেরদের সন্তুষ্টি দেখে তার খুব ভালো লাগে। তাই তিনি প্রতিদিন দোকান চালু রাখতে চান।

বিশেষ করে তার দোকানের ঢিল ছোড়া দূরত্বের মধ্যে রয়েছে দু’ডজনের মতো ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্ট। তারপরও তার দোকানে খদ্দের লেগেই থাকে। রাত আটটা থেকে রাত ১২ অবধি চলে বেচা-কেনা।

এমনিতে ফকিরাপুল জনবহুল স্থান। আবাসিকের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে সবই আছে সেখানে। হাতের নাগালের মধ্যে মিলবে সব।

এখানে রয়েছে অসংখ্য ছাপা কারখানা। নয়াবাজারকে ছাপিয়ে গড়ে উঠেছে কাগজের দোকান। সারা রাত ধরে মানুষের চলাচল সেখানে। যে কারণে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-রাহাজানি কম।

মোস্তফা জানান, প্রতি প্লেট ৩০ টাকায় তিনি ডিম পোলাও বিক্রি করেন। খিচুড়ি, তেহারিসহ মুরগি ও গরুর বিরিয়ানি বিক্রি করেন প্রতি প্লেট ৫০ টাকায়। সব ধরনের খদ্দেরদের প্রতি লক্ষ্য রেখে তিনি অল্প দামে এসব বিক্রি করেন।

আত্মতৃপ্তির সঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে জানান, দাম অল্প হলেও বেচা-বিক্রি বেশি হওয়ায় লাভটা ভালো থাকে। তার কথা- দাম অল্প হওয়ায় খদ্দেররাও খুশি। সে কারণে পুরনো খদ্দেররাই তার দোকানে আসেন। তবে তার কাছে পুরনো বা নতুন খদ্দের সবাই সমান।

বাংলানিউজের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ পোলাও রান্না তিনি কোনো ওস্তাদের কাছে শেখেননি। বাড়িতে মায়ের হাতে বিরিয়ানি খেয়ে তার রান্না প্রণালী দেখেই তিনি শিখেছেন। বলা যায়, মা- ই তার গুরু।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এসএস/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।