ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলা-৩: দাঁড়িয়াবান্ধা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলা-৩: দাঁড়িয়াবান্ধা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রতিটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ খেলা। বাংলাদেশে প্রচলিত বহু গ্রামীণ-লোকজ খেলা রয়েছে।

কিন্তু নগরায়ন, প্রযুক্তির প্রসারের ফলে সেগুলো থেকে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। শহরের শিশুরা অভ্যস্ত হচ্ছে কম্পিউটার, ট্যাব, মোবাইলে খেলায়। কৃত্রিম পার্কও তাদের অন্যতম গন্তব্য।

অথচ গ্রামের শিশুরা ছোটবেলা থেকেই বাড়ির এক চিলতে উঠান বা খোলা মাঠে তেমন কোনো উপকরণ ছাড়াই মেতে ওঠে গোল্লাছুট, নাটবল্টু, বউচির মতো বিভিন্ন মজার গ্রামীণ খেলায়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসব খেলার প্রচুরতা আগের তুলনায় বেশ কম। এবারের পর্ব দাঁড়িয়াবান্ধা খেলা নিয়ে-  

দাঁড়িয়াবান্ধা
এ খেলায় দু’টি দলে ছয়জন করে খেলোয়াড় থাকে। চার-পাঁচজন সদস্য হলেও চলে দু’টি দলে। মাটিতে দাগ কেটে ব্যাডমিন্টন কোর্টের মতো ঘর তৈরি করা হয়। বর্গাকার একটি ঘরে সামনে ও পেছনে সমান দূরত্ব রেখে দু’টি দাগ কাটা হয়। এ দুই দাগের মধ্যে এক হাত পরিমাণ জায়গা থাকে। এগুলো আড়া কোর্ট বলে পরিচিত।  

দু’টি আড়া কোর্টের মধ্যখানে আরও একটি কোর্ট তৈরি করা হয়। যাকে খাঁড়া কোর্ট বলে। প্রতি আড়া কোর্টে একজন করে খেলোয়াড় দাঁড়ায়। তারা ঘরে দাঁড়িয়ে অন্য দলের সদস্যদের ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়। কোর্টের উপর বা ঘরের ভেতর অন্য দলের খেলোয়াড়কে ছুঁয়ে দিলে সে মারা পড়ে। সামনের খেলোয়াড় তার পেছনের খাঁড়া কোর্ট ব্যবহার করতে পারে। যে দল খেলার সুযোগ পায়, তারা সামনের ঘর দিয়ে ঢুকে পেছনের ঘর দিয়ে বের হতে থাকে।  

সব ঘর পার হয়ে আবার পেছনের ঘর থেকে সামনে আসে। কোর্টে দাঁড়ানো ভিন্ন দলের সদস্যদের ছোঁয়া বাঁচিয়ে সবাই ফিরে আসতে পারলে গেম হয়। যারা কোর্টে অবস্থান করে তাদের কারো পা যদি দাগে পড়ে তবে ঘর ছেড়ে দিতে হয়। তখন অপর দল ঘরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।