ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাস কথা বলে মস্কোর শরীরজুড়ে

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
ইতিহাস কথা বলে মস্কোর শরীরজুড়ে

মস্কো (রাশিয়া) থেকে: ১৮০ রুবলের দেনা মাথায় নিয়ে সকালের নাশতা সেরে যখন রুমে এসে বিশ্রাম করছি, কিছুক্ষণ পরেই অপর হোটেল থেকে বাবলি আপু (বাবলি আক্তার) কল দিলেন—‘তোমরা কোথায় সব? দাশা বেচারি কল দিয়ে দিয়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছে তোমাদের, তবুও কেউ কল রিসিভ করছো না! শেষে আমার মাথা খাওয়া শুরু করেছে! দ্রুত কল দাও ওকে। ’

বুঝলাম, দাশা সম্ভবত শফিক ভাইকে অনেকবার কল দিয়েছে যোগাযোগের জন্য, কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।

তাই শেষে বাবলি আপুকে কল করেছে। দাশার পুরো নাম দাশা ইয়াকোলেভা। সুন্দর, সুশ্রী, চটপটে আর ভীষণ আড্ডাপ্রিয় মিষ্টি মেয়ে। একই সাথে ইংরেজি, রুশ ও স্প্যানিশ ভাষায় পারদর্শী। সে আমাদের ট্যুর গাইড।

দুপুর তখন ১২টা। আমি বাবলি আপুর কল পাওয়ার পরপরই শফিক ভাইকে কল দিলাম একটা, কিন্তু কোনো রেসপন্স নেই। এরপর কল করলাম দাশাকে। সে ভীষণ উদ্বিগ্নভাবে বললো—‘তোমার বন্ধু কোথায়? আমি কখন থেকে তাকে কল দিচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছি না! তোমাদের তো স্পটে আসতে হবে। তোমরা কি রেডি? আমি তাহলে গাড়ি পাঠাবো। ’ ওর কথার জবাবে বললাম—সে আছে। সম্ভবত অনেকটা জার্নির পর একটু ঘুমিয়ে পড়েছে, আমি এক্ষুণি ডেকে নিচ্ছি এবং তোমাকে জানাচ্ছি। ’ ফোন রাখার পর শুধু এতটুকু মনে হলো যে—রাশিয়ানরা সময় বোঝে। এদের কাছে ১২টা মানে ১২টা আর ৩ মিনিট মানে ঠিক তিন মিনিটই।


ট্যুর গাইড দাশা ইয়াকোলেভা

দাশার সঙ্গে কথা শেষ করার পর অনেকবার কল দিলাম শফিক ভাইকে। কম করে হলেও ৮ বার। নাহ, কোনো খবর নেই বেচারার। টেনশন হওয়ার কথা হলেও হচ্ছে না, কিন্তু তার ঘুম যে এত গভীর, সেটাই ভাবছি। অবশ্য ১৮ ঘণ্টার জার্নি আর তার আগের দিনের সমস্ত ধকল, সবই তো নিজেও ঠাওর করেছি, তাই দোষও দিতে পারি না। রুমে ফেরার পর একবার কল করেছিলাম তাকে। সারা রুম খুঁজে মোবাইলের চার্জার বসানোর জায়গা পেলাম না। যদিও শেষমেষ পেলাম, হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় রইলো না! আমাদের দেশে সকেটগুলো যেমন দেওয়ালের সঙ্গে সমান বা উপরে বাইরের দিকে থাকে, ওদের ঠিক তার উল্টো। গোল বৃত্ত করে, আধা ইঞ্চি ভেতরে নিয়ে তারপর মূল প্লাগ। সো, চার্জারের অ্যাডাপটার বৃত্তের তুলনায় বড় হওয়ায় তার বডিতে যায় বেধে, ভেতরে আর পৌঁছায় না। এই ঝামেলা নিয়ে যখন শফিক ভাইকে কল দিয়েছিলাম, দেখলাম তিনি বিছানায় কম্বল মুড়ি দিয়েছেন। তাই বুঝলাম, তিনি নির্ঘাত ঘুমের দেশে!

শফিক ভাই আছেন সাত তলায়, আমি আটে। হোটেলে প্রতি ফ্লোরে আলাদা লক, শুধু নির্দিষ্ট ফ্লোরের রুমগুলোর কী-কার্ড দিয়েই ফ্লোরে ঢোকার মূল দরজা খুলবে। তাই সাত তলা ঘুরে আবার এলাম রিসিপশনে। সেখানে তখনো ভিক্তোরিয়া দাঁড়িয়ে নিজের কাজ করছে। এরপর তাকে রিকোয়েস্ট করে তার রুমের নম্বর নিয়ে কল করা হলো শফিক ভাইয়ের রুমের টেলিফোনে। আমাদের সকলের সব চেষ্টা বৃথা যাওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত এই রাশিয়ান সুন্দরীর প্রথম ডাকেই ভাঙলো মহারাজার ঘুম! মৃদু কণ্ঠে বলে উঠলেন—আমি একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!

এদিকে দাশা অস্থির হয়ে আছে। হোয়াটসঅ্যাপে বারবার নক করেই যাচ্ছে আমাকে। শফিক কি ঘুমাবে নাকি আসবে? তোমরা রেডি হয়ে আমাকে জানাও। আমি গাড়ি পাঠাচ্ছি। আমি যখন রেডি হয়ে বেরিয়ে হোটেলের লবিতে বসে তার এইসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, তখন ৫/৭ মিনিটের মধ্যেই রেডি হয়ে নিচে নেমে এলেন শফিক ভাই। দাশাকে জানালাম—আমরা রেডি। সে বললো—ওয়েট, তিন মিনিটের মধ্যেই গাড়ি তোমাদের পিক করবে! ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা হলুদ রঙের ট্যাক্সি এলো আমাদের জন্য। ড্রাইভারের নাম দাদাশ। ইয়ং অ্যান্ড এনার্জেটিক বয়। ইংরেজি বোঝে না সে। তবে বুদ্ধি আছে মাথায়; নিজের ফোন থেকে গুগল ট্রান্সলেট নামিয়ে কথা বলা শুরু করলো আমাদের সাথে। আড্ডায় মজলাম আমরাও। আর এই আড্ডার সাথে সাথেই দীর্ঘ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে শুরু হলো আমাদের মস্কো দর্শন।



মস্কো শহরের বয়স প্রায় ৯০০ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে মস্কো এবং গোটা রাশিয়া নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। ইউরোপীয় রাজাদের মধ্যে মারামারি, মোঙ্গল আক্রমণ, জার আমলে অসংখ্য বিদ্রোহ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পত্তন ও পতন—এসব ঘটনার মধ্য দিয়েও মস্কো আজও তার হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। মস্কোর পুরনো বাড়িগুলোই এই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিদর্শন। হাজার বছরের পুরনো এই বাড়িগুলো আজও ঝকঝকে করে রাখা হয়েছে। যেন সদ্য ঝাড়পোঁছ, রংচং করা হয়েছে। এই বাড়িগুলোর ভেতরে ঢুকলে মনে হয় যেন অতীতের কোনো সময়ে চলে এসেছি।

মস্কোর হাজার বছরের ইতিহাস শুধু এই বাড়িগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মস্কোর রাস্তাঘাট, গির্জা, মন্দির, জাদুঘর—সবকিছুই এই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। মস্কোতে গেলে যে কেউ এই ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারে। এই ইতিহাসের মধ্যে রয়েছে সাহস, বীরত্ব, সংগ্রাম এবং ত্যাগ। এই ইতিহাস মস্কোবাসী এবং রাশিয়ানদের কাছে গর্বের এক অধ্যায়। সহস্রাব্দ-প্রাচীন ইতিহাস প্রায় জ্যান্ত অবস্থাতেই রয়েছে সেখানে। এবং সে দেশের মানুষের প্রাচীনতার ধারণাও তেমনই। কেমন? যেমন গাইডকে একটা পোস্ট অফিস দেখিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, এই বাড়িটা কবে তৈরি? তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন’। নতুন মানে? ‘এই উনিশ শতকের গোড়ায় তৈরি!’ ঠাট্টা নয়। ইতিহাস-ভাবনা ও দেশে এমনই।

একে বিশাল, ব্যাপ্ত শহর। তার উপরে সমস্ত খুচরো ইতিহাসের নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করে রাখা। অতএব, এ শহর একবারে পুরোটা ঘুরে ফেলা সম্ভব নয়। কার কোন দিকে আগ্রহ, সেই অনুযায়ী কয়েকটা ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। যেমন সম্রাট এবং তার অতুল সম্পদে যার আগ্রহ, তাকে অবশ্যই যেতে হবে ক্রেমলিন প্রাসাদে। সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মস্কোর তৎকালীন বিশপ পাত্রিয়ার্ক নিকনের জন্য তৈরি হয়েছিল এই আনুষ্ঠানিক ‘ক্রস হল’। রুশ সম্রাট জার ও রাষ্ট্রদূতদের ভোজনপর্ব বা ফিস্ট আয়োজিত হত এখানে।



কেউ যদি সোভিয়েতের ইতিহাসে আগ্রহী হন, তা হলে তার পীঠস্থান বলতে হয় লেনিনের সমাধিকে। হোটেলের রিসেপশনে জানা গেল, এখনও সেই সমাধি দেখতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আসেন কমিউনিস্ট কিংবা পূর্বতন কমিউনিস্ট দেশ থেকে। যেমন চীন, উত্তর কোরিয়া, কিউবা বা জার্মানি। ক্রেমলিনের দেওয়ালের বাইরে অবস্থিত লেনিনের সমাধিস্থল। সেখানে প্রবেশ করে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে রেড স্কয়ারের আর এক প্রান্তে গিয়ে লাইন দিতে হয়। অনেক অপেক্ষার পরে পৌঁছানো যায় লেনিনের দেহের কাছে। ১৯২৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত, নশ্বর দেহটিকে রাসায়নিকের মাধ্যমে ঠিক তেমনভাবেই রেখে দেওয়া হয়েছে।

মস্কো শহরের মেট্রোও অবশ্য আরেক দ্রষ্টব্য। এক একটা স্টেশন এক একটা শিল্পকর্ম। কোনোটায় শ্বেতপাথর কিংবা সোনার কারুকাজ, কোনোটায় ফ্রেস্কো। ১৬টা রুট ও ২২৪টি স্টেশন সংবলিত মস্কো মেট্রোয় রোজ ৭০ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। প্রত্যেক দু’মিনিট অন্তর মেট্রো থাকার কারণে ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি সেভাবে হয় না। তবু ঘুরে দেখতে হলে শনি-রবির সকাল কিংবা অন্য পাঁচ দিন রাত ৮টার পরেই মেট্রোয় ওঠা ভালো। চমকের শেষ নেই। কোনো কোনো এস্কেলেটরে উঠতে বা নামতে আড়াই থেকে তিন মিনিটও লাগতে পারে। কারণ, বহু স্টেশনই মাটির অনেক নিচে। যেমন পার্ক পোবেদি স্টেশনের গভীরতা ২৭৬ ফুট (৮৪ মিটার)।

ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নিদর্শনে সমৃদ্ধ আরও এক পর্যটনকেন্দ্র মস্কোর রেড স্কয়ার বা লালচত্বর। এর ইতিহাস-ঐতিহ্যের টানে প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষ এই রেড স্কয়ারে ছুটে আসেন। রাশিয়ার প্রশাসনিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ক্রেমলিন সংলগ্ন এই রেড স্কয়ারের প্রতিটি ভবনের যে নির্মাণশৈলী, কারুকার্য ও স্থাপত্যরীতি তা মানুষকে বার বার আকর্ষণ করে। নানা শৈল্পিক নিদর্শনে পরিপূর্ণ রেড স্কয়ারের চার দিকের প্রতিটি ভবনই এক একটি ভাস্কর্য হিসেবে ফুটে উঠেছে। এখানকার অধিকাংশ ভবনের রংই লাল। কোনো কোনো ভবনের রং পুরোপুরি লাল না হলেও অন্যান্য রঙের সঙ্গে লালেরও ছোঁয়া রয়েছে। সাধারণভাবে বলা হয়, ভবনের লাল রঙের কারণেই এই চত্বরের নাম হয়েছে রেড স্কয়ার বা লাল চত্বর। তবে শুধু রংই নয় নামকরণের পেছনে অন্য কারণও আছে বলে ধারণা করা হয়। রাশিয়াতে লালকে সুন্দরের প্রতীক হিসেবেও তৎকালে গণ্য করা হতো।

রেড স্কয়ারকে ঘিরে রয়েছে প্রাচীন এবং জার শাসনামলের অনেক নির্দশন। যার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে। আধুনিককালে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর এই রেড স্কয়ার কমিউনিস্ট বিপ্লবের স্মৃতিবিজড়িত স্থান হিসেবেও পরিচিত। এই রেড স্কয়ার ছিলো মস্কোর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। তবে জার শাসনামল-পরবর্তী সোভিয়েত আমল এবং বর্তমানে রাশিয়ার জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানও এখানে উদযাপন করা হয়। বর্তমানে এটি রাশিয়া তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্র।



এই রেড স্কয়ারে রয়েছে মস্কোর বিখ্যাত ঘড়ি। এখানে সাভিয়ার টাওয়ার বা প্যাসকায়া টাওয়ারে ১৬২৫ সালে এই বিখ্যাত ঘড়ি স্থাপন করা হয়। মোট ২৫ টন ওজনের এই ঘড়ির কাঁটা, রিম ও সময় নির্দেশক সংখ্যাগুলো তৈরিতে ২৮ কেজি স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়। ২৩৩ মিটার উচ্চতার সাভিয়ার টাওয়ারের চারদিকে এই ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে, যা মস্কো শহরের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ।

রেড স্কয়ারে আরও রয়েছে সেন্ট সাসিলস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ষোড়শ শতকে জার ইভান এটি নির্মাণ করেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার জন্য এটি নির্মাণ করা হলেও নানা কারুকার্য অসাধারণ নির্মাণশৈলী ও শিল্পনৈপুণ্যের জন্য এই চার্চ রেড স্কয়ারের আরেকটি মনোমুগ্ধকর স্থাপনা। বর্তমানে চার্চটি একটি জাদুঘর। রেড স্কয়ারে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শপিং কমপ্লেক্স। রাশিয়ার জার প্রথম আলেকসান্দর ১৮১২ সালে এই বিশাল ভবনটি তৈরি করেন। দৃষ্টিনন্দন ভবনটিকে অধুনাকালে শপিং কমপ্লেক্স করা হয়।

সহজ করে বলতে গেলে, চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যের সাক্ষী এই শহর। এতক্ষণ যে সব দ্রষ্টব্যের নাম উল্লেখ করা হলো, সে সবই মোটামুটি প্রায় একই এলাকায় অবস্থিত। প্রত্যেক দিন সুবিপুল পর্যটকে গমগম করে মস্কোর পথে। ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, যেসবের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা বার বার সেখানে ছুটে আসেন এখানে। আর আসবেন নাই বা কেন?  সহস্রাব্দ-প্রাচীন ইতিহাস এখনো প্রায় জ্যান্ত অবস্থাতেই রয়েছে। তার সাথে সমস্ত খুচরো ইতিহাসের নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করে রাখা। আর এইসব জীবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ আর খুচরো ইতিহাসই পর্যটকদের কাছে মস্কোর অতীতের গল্প বলে আকৃষ্ট করে। ঠিক যেন ইতিহাস কথা বলে মস্কোর শরীরজুড়ে!

আরও পড়ুন:
১৮০ রুবলের দেনা মাথায় নিয়ে শুরু মস্কোয় পথচলা!
উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো এক ঝাপটা শীতল হাওয়া
সাদা রাতের শহরে

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।