ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

পাহাড়িদের প্রিয় খাবার নাপ্পি’র সাতকাহন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
পাহাড়িদের প্রিয় খাবার নাপ্পি’র সাতকাহন

ঢাকা: বাজারের একেবারে শেষ গলি। দু’পাশে দোকানের সামনে সাজানো রয়েছে বাঁশের ছোট ছোট ডালা।



কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো ডালায় বিক্রি হচ্ছে পাহাড়ি, চাকমা নৃ-গোষ্ঠীর প্রিয় খাবার ‘নাপ্পি’। কেউ ‘নাপ্পি’, আবার কেউ চেনেন ‘সিদল’ নামে। এটি মূলত ত্রিপুরাদের অতি প্রিয় খাবার।

লোকমুখে শুনে খাগড়াছড়ি জেলার বোয়ালখালি বাজারে গিয়ে সন্ধান মিলল এই খাবারের।

মূল বাজার পেরিয়ে শেষ দিকে ২৫/৩০টি দোকানে নাপ্পি নামে বিশেষ এই খাবারের ক্রেতা চাকমা নৃ-গোষ্ঠী আর বিক্রেতা রাখাইন সম্প্রদায়, যারা কক্সবাজার থেকে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এসে বোয়ালখালিতে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী এই বাজার। বাজার বা দোকনের পেছনেই তাদের বাসা।

সিদল বা নাপ্পির পাশাপাশি ত্রিপুরা, চাকমা নৃ-গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য অন্যান্য জিনিসপত্রও বেচা-কেনা হচ্ছে এই বাজারটিতে। তবে এটি নাপ্পি বাজার নামেই পরিচিত। পাহাড়িদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে ওঠা এই বাজারটি পর্যটকদের কাছেও আগ্রহের সষ্টি করেছে।  

সামুদ্রিক চিংড়ি ও অন্যান্য গুঁড়া মাছের তীব্র গন্ধ যুক্ত গুলানো ময়দার মতো এই খাবারটি কক্সবাজারে তৈরি হয় বলে জানালেন বিক্রতারা।

বাজারের প্রবেশমুখে কথা হয় নাপ্পি বিক্রেতা মংসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোট চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক ছোট মাছের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয় নাপ্পি।

সঙ্গে যোগ হয় কিছু বাড়তি উপাদান। তীব্র গন্ধ যুক্ত হলেও যেকোনো তরকারির বাড়তি স্বাদ এর জুড়ি নেই।

আরেক বিক্রেতা মাও সইজো বলেন, কলাপাতায় মুড়িয়ে সামান্য পুড়িয়ে শক্ত করে তরকারিতে দেওয়া হয় নাপ্পি। আবার পানিতে গুলিয়ে এবং সরাসরি ব্যবহার করা যায় তরকারির সঙ্গে। তরকারিতে মেশালে স্বাদ বাড়ে দ্বিগুণ। শুঁটকি মাছের মতো সব তরকারিতেই ব্যবহার করা যায়।

পাহাড়ি, ত্রিপুরা ও চাকমাদের কাছে এই খাবার জনপ্রিয় হলেও অনেক বাঙালিরাও নাপ্পি খেয়ে থাকেন বলে জানান মাও সইজো।
ব্যবসায়ীরা জানান, দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। ফলে আবাসিক বাজার গড়ে উঠেছে। পূর্ব পুরুষ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২/৩ পুরুষ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।