ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জলাভূমি রক্ষায় সকলকে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
জলাভূমি রক্ষায় সকলকে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী 

ঢাকা: দেশের মানুষ, বিভিন্ন প্রাণী এবং উদ্ভিদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী জলাভূমি সুরক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, জলাভূমি ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং অবৈধভাবে দখলকৃত জলাশয় উদ্ধারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করছে সরকার।

 

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সময়ের অঙ্গীকার, জলাভূমি পুনরুদ্ধার’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব জলাভূমি দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ।  

আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং আইইউসিএন-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন। বিষয় ভিত্তিক উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. মোখলেছুর রহমান এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার জলাভূমি সংরক্ষণের গুরুত্ব সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আরোপের জন্য বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, বিধিমালা ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে জলাভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।  

মন্ত্রী বলেন, হাওড় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ২০১২ থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। হাওর ও জলভূমির উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জলাভূমিসহ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় দেশের ১৩টি এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জলাভূমিসমৃদ্ধ বিভিন্ন এলাকাকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।  

শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিসমূহ সংরক্ষণের জন্য ১৯৯২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত রামসার কনভেশন কার্যকরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে দুটি রামসার সাইট আছে, একটি সুন্দরবন, অপরটি টাঙ্গুয়ার হাওর।  

এছাড়া পাখিসহ জীববৈচিত্র্যের সমাহার হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের তৃতীয় রামসার সাইট ঘোষণার অপেক্ষায় আছে। জলাভূমির সমাহার রামসার সাইট ও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। পুকুর, খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাওড়সহ সব ধরনের জলাশয় রক্ষা করতে পারলেই আমরাও ভালো থাকবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।