ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ট্রল হওয়ায় পরিবার সিনেমা ছাড়তে বলেছিল: বাপ্পি

মো. জহিরুল ইসলাম মোহসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
ট্রল হওয়ায় পরিবার সিনেমা ছাড়তে বলেছিল: বাপ্পি চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকা: করোনার বিরতির পর বড় পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’

দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত সিনেমাটিতে বাপ্পি অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিপরীতে।

‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’, নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বাপ্পি কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে। তারই চুম্বকাংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

বাংলানিউজ: শুরুতে জানতে চাই আপনার সত্যিকারের শ্বশুরবাড়ি কবে হচ্ছে?
বাপ্পি: হা হা হা (হাসি), এটা তো এখনই বলা মুশকিল। তবে খুব শিগগিরই হয়তো সুখবর পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এখনই নির্দিষ্ট কোনো সময় বলতে পারছি না। সিদ্ধান্তটি পরিবারের ওপর।

বাংলানিউজ: অনেকদিন পর আপনার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, কেমন লাগছে?
বাপ্পি: আসলে করোনার কারণে আমার অনেকগুলো সিনেমার মুক্তি আটকে ছিল। এটাতো বৈশ্বিক বিপর্যয়, যা অন্যান্য সেক্টরের পাশাপাশি আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকেও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তবে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ মুক্তিতে খুব খুশি। আবারো দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আমার সিনেমা দেখতে আসবেন, আলোচনা-সমালোচনা করবেন- আসলে পুরো বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করি।  

বাংলানিউজ: ২০০১ সালে রিয়াজ-শাবনূর জুটির সুপারহিট সিনেমা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ মুক্তি পায়। ২০২২ সালে মুক্তি পাচ্ছে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’। সে সময়কার এই জনপ্রিয় জুটিকে কি বাপ্পি-অপু ছাড়িয়ে যেতে পারবেন?
বাপ্পি: আমি মনে করি পারবে না। কারণ তাদের মতো এখনো আমি এতো ভালো অভিনয়শিল্পী হতে পারিনি। তবে আমরা দু’জনই চেষ্টা করেছি গল্পটাকে দর্শকদের জন্য উপভোগ্য করতে এবং সময়োপযোগী অভিনয় উপহার দিতে। রিয়াজ-শাবনূর জুটিকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও, বাপ্পি-অপুকে দেখে দর্শক নিরাশ হবেন না-এটাই আমার বিশ্বাস।   

বাংলানিউজ: এই সিনেমায় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
বাপ্পি: তিনি খুব ভালো একজন অভিনেত্রী। কাজের ব্যাপারে অনেক সচেতন। এছাড়া সহশিল্পী হিসেবেও অনেক আন্তরিক। তার সবচেয়ে যে বিষয়টি ভালো লেগেছে, সেটা হচ্ছে তিনি বন্ধুর মতো করে সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করেন। সব মিলিয়ে শুটিংয়ের সময়টা দারুণ ছিল।

বাংলানিউজ: এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি, আপনার অভিনয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই সমালোচনা ও ট্রল হতে দেখা যায়। অনেক সময় আপনার নানা ভিডিও ক্লিপও ভাইরাল হয়, এই বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
বাপ্পি: এগুলো নিয়ে আমার মধ্যে কোনো খারাপ লাগা কাজ করে না, কিন্তু আমার পরিবারের মানুষদের খারাপ লাগে। তারা বিষয়টি নিতে পারেন না। যারা এসব ট্রল করেন, তারা বিষয়টি বোঝেনও না। মানুষের ট্রল করা দেখে পরিবার থেকে আমাকে বলা হয়েছিল, ‘এত কষ্ট করছিস, কিন্তু তোকে নিয়ে মানুষ উল্টাপাল্টা কথা বলছে। কেউ তোর কষ্টটা দেখছে না। ’ এ কারণে পরিবার থেকে আমাকে সিনেমা ছেড়ে দিতেও বলা হয়েছিল। খুব ভালো কাজ পেলে করতে, না পেলে সিনেমা ছেড়ে ব্যবসা করতে বলেছিল। তারপর থেকে আসলে আমি ব্যবসা করবো, এমন চিন্তা মাথায় আনি। আর অভিনয় তো আমার প্যাশনের জায়গা, এটা ছাড়া এতো সহজ নয়।

বাংলানিউজ: আপনি যে সিনেমাতেই অভিনয় করেন, সেই সিনেমার নায়িকার সঙ্গেই আপনার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়, এর কারণ কী? 
বাপ্পি: যারা এসব গুঞ্জন ছাড়ায় তারা আসলে সব সময় আমার বিরুদ্ধে কাজ করেন। তারা হয়তো কোনো নায়ক কিংবা নায়িকার হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব ছাড়ায়। এমন কথা ছড়ালে মার্কেটে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে -এটাই থাকে তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু এতে আমার কিছু যায় আসে না, কারণ দিন শেষে আমি কাজে ফোকাস দিয়ে আসছি। আমার প্রত্যেকটি সিনেমার নায়িকা আমার খুব ভালো বন্ধু, এর বাইরে আর কিছুই না।  

বাংলানিউজ: যারা এসব ছড়ায়, তারা আসলে কারা?
বাপ্পি: তারা সিনেমার কেউ-ই হবেন, যারা বাইরে এমন গুজব ছড়ায়।  

বাংলানিউজ: ‘ভালোবাসা রঙ’র পর বাপ্পির যেমন জনপ্রিয়তা ছিল, বর্তমান সময় সেই জনপ্রিয়তাটা কি ধরে রাখতে পেরেছেন? 
বাপ্পি: অবশ্যই পেরেছি। না হলে এখনো নির্মাতারা আমাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতেন না। দর্শকরাও প্রেক্ষাগৃহে আমার সিনেমা দেখতে যেতেন না। তবে আমার কাছে মনে হয়, আমি এখনো হিরো হয়ে উঠতে পারিনি, অভিনেতা হয়ে উঠতে পারিনি। প্রতিনিয়ত শিখছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি একজন ভালো অভিনেতা হওয়ার।

বাংলানিউজ: বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন?
বাপ্পি: বর্তমানে আমার হাতে তিনটি সিনেমায় রয়েছে। এরপর মধ্যে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘জয় বাংলা’, অপূর্ব রানা পরিচালিত ‘যন্ত্রণা’ এবং শাহীন সুমন পরিচালিত ‘কুস্তীগির’। কিছুদিন আগে ‘কুস্তীগির’-এ প্রথম লটের কাজ করলাম। এছাড়া বাকি দুইটা সিনেমার শুটিং পর্যায়ক্রমে হবে। এগুলো নিয়েই আগামী দুই মাস ব্যস্ত থাকবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।