ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বছর শেষে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে দেব কায়সারের

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
বছর শেষে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে দেব কায়সারের দেব কায়সার

মাসুদ পথিক পরিচালিত সিনেমা ‘মায়া- দ্য মাদার’র মাধ্যমে ঢালিউডে যাত্রা করেন দেব কায়সার। তার পুরো নাম দেবাশিষ কায়সার। বছরের শেষ চলচ্চিত্র ‘মায়া’ দিয়ে নায়ক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে এই অভিনেতার। 

হ্যাঁ, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’। সৈয়দ হাসান ইমাম, জ্যোতিকা জ্যোতি ছাড়াও এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভারতের প্রখ্যাত যাদুকর পিসি সরকারের মেয়ে মুমতাজ সরকার।

 

সিনেমাটতে একজন লেখক-সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেব কায়সার। এমন কথাই জানালেন এর নির্মাতা। শুধু পরিচালকই নন মুক্তির আগে যাদেরই সিনেমাটি দেখার সুযোগ হয়েছে, তারা সকলেই ‘মায়া’র প্রশংসা করছেন। একজন নতুন মুখ দেব কায়সারেরও অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করছেন তারা।

দেব কায়সারউচ্চ শিক্ষিত দেব কায়সারের চলচ্চিত্রে আসাটা হুট করেই। মা সুলেখক রহিমা আখতার কল্পনার আগ্রহেই মিডিয়ায় পথচলা দেব কায়সারের। ছোটবেলা থেকেই অসংখ্য নাটক আর ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি গানের প্রতিও রয়েছে তার গভীর অনুরাগ। গানের গলাও বেশ। শিশু একাডেমী থেকে শুরু, বাফা থেকে সম্পন্ন করেছেন উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীতের কোর্স।  

সংগীতে হাতেখড়ি ওস্তাদ সঞ্জীব দে’র কাছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী দেবাশিষ।

দেবাশিষ বলেন, প্রথমেই স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা, এরপর মায়ের প্রতি। যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা পরিচালক মাসুদ পথিক দাদার প্রতি। কারণ তিনি এমন সুযোগ না দিলে আমি হয়তো এতো দ্রুত নায়ক হতে পারতাম না। কৃতজ্ঞতা সকলের প্রতি, যারা আমাকে কাজের ব্যাপারে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।  

তিনি আরও বলেন,  এটি আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা। আশা রাখি, সিনেমার পাশাপাশি আমার অভিনয় দেখে দর্শকরা নিরাশ হবেন না। তাই সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন- প্রাণ রায়, ঝুনা চৌধুরী, নারগিস আক্তার, লীনা ফেরদৌসী, ড. শাহাদাত হোসেন নিপু, আসলাম সানী ও মজিদ প্রমুখ।

২০১৬ সালে ‘মায়া - দ্য লস্ট মাদার’ নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পায়। সে বছরই সিনেমাটির কাজ শুরু হয়। এর কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে তিন বছর। গত ৩ ডিসেম্বর ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৭ সেকেন্ডের সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের সনদ পায়।

‘নেকাব্বরের মহাপ্রায়াণ’ খ্যাত নির্মাতা মাসুদ পথিকের এটি দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের সত্য গল্প নিয়ে এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মিত হলো বাংলাদেশে। সিনেমাটিতে নতুন বাংলা, বাংলা মাকে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মাসুদ পথিক।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।