ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

লালন গীতি ও বাঁশির সুরে শেষ জলজের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
লালন গীতি ও বাঁশির সুরে শেষ জলজের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী প্রদর্শনীতে সংগীত পরিবেশন করছেন শিল্পীরা। ছবি: হোসাইন মোহাম্মদ সাগর

ঢাকা: গ্রাম ও শহুরে জীবন, শাপলার বিল, রিকশা, নৌকা, দরজা, দৃশ্যমান ডায়েরি খুব স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে দেয়ালে টাঙানো চিত্রকর্মগুলোতে। জল রঙে আঁকা প্রতিটি কাজেরই ছিল নিজস্ব একটা শৈলী। সঙ্গে প্রাণবন্ত বাঁশির সুর। আর এ সবগুলো মিলেমিশে একাকার হয় রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে জলজ’র চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে।

সভ্যতার সোপান নীল নদের তীরে যদি কৃষিকাজ দিয়ে শুরু হয়, তবে তার উৎস ছিল জল। সবুজ বৃক্ষ তথা প্রাণের উচ্ছ্বাস, নদী, পাহাড় অথবা সমুদ্রের নীল; সমস্ত কিছু জুড়েই জল।

জলের সঙ্গেই আমাদের নিত্য বসবাস।

বেঁচে থাকায় জল যেমন অপরিহার্য, তেমনি জীবনকে রাঙিয়ে তুলতেও জলের নেই তুলনা। জলে রং হয়ে ওঠে আরও জীবন্ত ও প্রাণবন্ত। একদল তরুণ চিত্রশিল্পী সেই জল আর রং কে একত্রিত করেই গড়ে তোলেন ‘জলজ’। মঙ্গরবার (২৮ নভেম্বর) বাঁশির সুর আর লালন গীতির মধ্যদিয়ে শেষ হলো জলজের তৃতীয় চিত্রকর্ম প্রদর্শনী।

ছয় শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে রানা মশিউর, শ্যামল বিশ্বাস, সাদেক আহমেদ, বিষাণ ভক্ত ও আল আখির আঁকা ছবিগুলো যেন একেকটি গল্পের প্রতিচ্ছবি। সমাজের বিভিন্ন দিক, নানান বস্তু তাদের এ ছবির উপজীব্য বিষয়।

রিকশা নিয়ে ছবি এঁকেছেন শিল্পী শ্যামল বিশ্বাস। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিন কাক দেখি, চড়ুই দেখি। এগুলো যেন আমাদের নিত্য বিষয়। ঠিক তেমনি আরও একটি নিত্য বিষয় হচ্ছে রিকশা।

শিল্পী ভিষাণ ভক্ত বলেন, ছবি দেখে যদি একটা মানুষও একটু শান্তি অনুভব করেন, তবেই আমাদের আনন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।