ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

মজার অভিনেতা জেনে ওয়াইল্ডারের জীবনাবসান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৬
মজার অভিনেতা জেনে ওয়াইল্ডারের জীবনাবসান জেনে ওয়াইল্ডার

কোকড়া চুল আর নীল চোখের তারকা জেনে ওয়াইল্ডার জীবনভর দর্শকদের হাসিয়েছেন। ‘উইলি ওঙ্কা অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’, ‘ইয়াং ফ্র্যাঙ্কেনস্টেইন’ আর ‘ব্লেজিং স্যাডেলস’ ছবিতে তার মজার অভিনয় দর্শক আজও ভোলেনি।

মার্কিন এই অভিনেতা সোমবার (২৯ আগস্ট) চিরবিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে। তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর।

জেনের ভ্রাতুষ্পুত্র জর্ডান ওয়াকার-পার্লম্যান জানান, কানেক্টিকাটের স্ট্যামফোর্ডে আলজেইমারের জটিলতায় ভুগে মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় পরিবারের সদস্যরা পাশেই ছিলেন। তখন স্পিকারে বাজানো হয় এলা ফিৎজেরাল্ডের ‘সামহোয়্যার ওভার দ্য রেইনবো’। ওয়াকার-পার্লম্যান আরও জানান, নিজের রোগ গোপন রাখতে চেয়েছিলেন জেনে। কারণ উইলি ওঙ্কা হিসেবে যেসব শিশুরা তাকে চিনতো সেই মানুষটি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা জানাতে চাননি তিনি। ১৯৭১ সালে এ চরিত্রের জন্য গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন পান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মিলওয়াউকিতে ১৯৩৩ সালের ১১ জুন জন্মের পর নাম রাখা হয় জেরোমি সিলবারম্যান। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে ব্রিস্টল ওল্ড ভিক থিয়েটার পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর অ্যাক্টরস স্টুডিওতে অভিনয়ের পদ্ধতি পড়েছেন।  

​পরিচালক-লেখক মেল ব্রুকস ও অভিনেতা-কমেডিয়ান রিচার্ড প্রাইওরের সঙ্গেই নিজের সেরা কাজগুলো করেছেন জেনে ওয়াইল্ডার। মেলের তৃতীয় ছবি ‘দ্য ওয়াকো কিড’-এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান তিনি। ষাট ও সত্তর দশকে ‘ব্লেজিং স্যাডেলস’ ও ‘ইয়াং ফ্রাঙ্কেনস্টেইন’ অস্কারে সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে মনোনয়ন পায়। সে সময় মুক্তি পায় জেনে-মেল জুটির আরেক ছবি ‘দ্য প্রডিউচার্স’। এতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পান তিনি।  

এ ছাড়া কমেডিয়ান রিচার্ড প্রাইওরের সঙ্গে জেনের ‘সিলভার স্ট্রিক’ ও ‘স্টির ক্রেজি’ ছবি দুটিও দারুণ ব্যবসাসফল হয়। এর মধ্যে ‘সিলভার স্ট্রিক’ ছবির জন্য ১৯৭৬ সালে আবার এই মনোনয়ন মেলে তার। ২০০৩ সালে কমেডি সিরিজ ‘উইল অ্যান্ড গ্রেস’-এ অতিথি শিল্পী হিসেবে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এমি জেতেন তিনি।  

১৯৮৪ সালে ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ কমেডিয়ান জিল্ডা র‌্যাডনারকে বিয়ে করেন জেনে ওয়াইল্ডার। তিনি ছিলেন জেনের তৃতীয় স্ত্রী। ১৯৮৯ সালে ক্যানসারে মারা যান জিল্ডা। তাই ওভারিয়ান ক্যানসার ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ছিলেন জেনে। লস অ্যাঞ্জেলেসে জিল্ডা র‌্যাডনার ওভারিয়ান ক্যানসার ডিটেকশন সেন্টার গড়তে সহযোগিতা করেন তিনি। এ ছাড়া  জিল্ডা’স ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন জেনে। আমেরিকাজুড়ে এর শাখা রয়েছে। ১৯৯১ সালে ক্যারেন বয়ারকে বিয়ে করেন জেনে।  

২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় জেনে ওয়াইল্ডারের স্মৃতিগ্রন্থ ‘কিস মি লাইক অ্যা স্ট্রেঞ্জার: মাই সার্জ ফর লাভ অ্যান্ড আর্ট’। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ স্টিভেন পাইভারের সঙ্গে মিলে ১৯৯৮ সালে তিনি বের করেন “জিল্ডা’স ডিজিজ” বইটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।