ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

‘বিকল্প চলচ্চিত্র নির্মাণে নারী-পুরুষ উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৬
‘বিকল্প চলচ্চিত্র নির্মাণে নারী-পুরুষ উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে’  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘দেশে সবক্ষেত্রে সব ধরনের কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে বিকল্পধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে কেনো পিছিয়ে? এটা ভাবা উচিৎ নয় যে, বিকল্পধারার চলচ্চিত্র তৈরি করা কেবল পুরুষের কাজ।

বিকল্প চলচ্চিত্র নির্মাণে নারী-পুরুষ উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে’- বলছিলেন নারী নির্মাতা শবনম ফেরদৌসি। বিকল্প চলচ্চিত্রের তিন দশক পূর্তির অনুষ্ঠানে ‘স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রের তিন দশক: সাফল্য ব্যর্থতা’ বিষয়ে প্যানেল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম’ ৩০ বছর পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) এ আলোচনায় অংশ নেন চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী বলেন, ‘বিকল্প চলচ্চিত্র মানুষ ও সমাজের পরিবর্তনের কথা বলে। আগে যারা এই ধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারা সমাজকে পরিচালনা করেছেন একভাবে। এখন হচ্ছে অন্যভাবে। কেউ যদি এগিয়ে না আসে তাহলে পরিবর্তন হবে কীভাবে, মানুষ জানবে কীভাবে?’

মানজারে হাসীন মুরাদ বলেন, ‘আলমগীর কবির ভাইয়ের কাছ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শেখার পর অনেকে ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দিতাম। তখন ওদের মধ্যে আগ্রহ দেখেছি। এখন সবাই নিজে নিজে সব করছে। কোন কিছুতেই সংঘবদ্ধ নেই। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ’

আশাবাদ ব্যক্ত করে গাজী রাকায়েত বলেন, ‘চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি চলচ্চিত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে। সে সময় সবাই তরুণ। সিনেমা হল বা বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা ছাড়া দর্শককে সিনেমা দেখানো সম্ভব হতো না। এখন মানুষের সিনেমা দেখার অনেক সুযোগ। মানুষ যদি বিদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখে তাহলে অবশ্যই দেশীয় স্বল্পধারার চলচ্চিত্র দেখবে। ’

আলোচনায় অারও অংশ নিয়েছেন তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম, এ কে এম জাকারিয়া, এন রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, জাকির হোসেন রাজু, আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, বেলায়েত হোসেন মামুন, জহিরুল ইসলাম কচি, সালাউদ্দিন অটলসহ আরও অনেকে।

এর আগে সকালে জাতীয় সংগীত গেয়ে ও শ্বেত পায়রা ‍উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এখানে জড়ো হয়েছিলেন চলচ্চিত্র্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, একই সঙ্গে বিকল্প চলচ্চিত্র নির্মাণের কারিগর ও স্বপ্নদ্রষ্টারা।  

প্রথম দিনের অনুষ্ঠান হয় দুই পর্বে। প্রথম ভাগে ছিলো বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের প্রবীণ সদস্যদের স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা। এখানেনে বক্তারা তুলে ধরেন বিকল্প ধারা চলচ্চিত্রের ৩০ বছরে ভালোলাগা, মন্দ লাগা, সাফল্য ও অভিজ্ঞতার কথা।  

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে (২৭ আগস্ট) ছিলো ৮০ ও ৯০ দশকের পাশাপাশি এ সময়ের বিকল্পধারার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ছবিগুলো দেখা গেছে সকাল ১০টা, বিকেল ৩টা ও ৫টায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৬
টিএস/এসও/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।