ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘মা লো মা’ নিয়ে বিতর্ক: নেত্রকোণায় মানববন্ধন-সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
‘মা লো মা’ নিয়ে বিতর্ক: নেত্রকোণায় মানববন্ধন-সংবাদ সম্মেলন

নেত্রকোনা: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার সিজন তিনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’। সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের সংগীত পরিচালনায় এটি প্রকাশের পর বেশ সাড়া ফেলে দেয়।

তবে পাশাপাশি শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কোক স্টুডিও বাংলা গানটির গীতিকার হিসেবে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করেছে। তবে নেত্রকোনায় দাবি উঠেছে, এটি সেখানকার বাউল সাধক রশিদ উদ্দিনের গান। রশিদ উদ্দিনের গান অন্যের নামে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

গত ৬ মে জেলা প্রেসক্লাবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সাহিত্যিক সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাইফুল্লাহ এমরান। এতে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা-১ আসনের সাবেক এমপি ছবি বিশ্বাস, বাউল সাধক মরহুম রশিদ উদ্দিনের ছেলে মো. আবু আনসার কালা মিয়া, রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, সহাকারী অধ্যাপক সরোজ মোস্তফা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শিকড় উন্নয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আপেল প্রমুখ।

কর্মসূচিতে বলা হয়, রশিদ উদ্দিনের লেখা ‘মাগো মা ঝিগো ঝি’ এই গানটির দুই-একটি কথা পরিবর্তন করে খালেক দেওয়ানের নামে প্রচার করা হয়েছে। কর্মসূচিতে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।  

বক্তারা বলেন, এ গানটির সময়কাল প্রায় শত বছরের। ইতোপূর্বে এই গানটি অনেক শিল্পীই রশিদ উদ্দিনের নামে পরিবেশন করেছেন। বিখ্যাত বংশীবাদক মরহুম বারী সিদ্দিকীর বের করা ক্যাসেটে এ গানটি রশিদ উদ্দিনের নামে প্রচারিত। ২০১৮ সালে তৈরি করা ডকুমেন্টারিতেও এ গানটি রশিদ উদ্দিনের নামে প্রচার করা হয়েছে। ২০১৩ সালে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার লেখা ‘রশিদ গীতিকা’ বইয়ে এ গানের কথা রশিদ উদ্দিনের মূল পাণ্ডুলিপি থেকে সংগ্রহ করে তুলে ধরা হয়েছে।

রশিদ উদ্দিনের গানটির ‘বিকৃতি’ ঘটিয়ে প্রচার করায় মর্মাহত বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, খালেক দেওয়ানকে আমরা ছোট করতে চাই না। রশিদ উদ্দিনের গানকে খালেক দেওয়ানে নামে চালিয়ে দিয়ে রশিদ উদ্দিনকেও ছোট করা দেখতে চাই না আমরা।

যদিও এ বিষয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা। তারা বলেছে, “কোক স্টুডিও বাংলা একজন শিল্পীর সৃজনশীলতা ও মেধা সম্পদের মৌলিকত্বের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মূল্যায়ন করে। আমাদের প্রতিটি গান সতর্কতার সাথে যাচাই করা হয় এবং ন্যায়সঙ্গত শিল্পীকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ‘মা লো মা’ গানটি মো. খালেক দেওয়ানের লেখা। তার বংশধর আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান এই গানে পারফর্ম করেছেন। ‘মা গো মা’ নামে এই গানের আরও একটি সংস্করণ আছে, যা বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। গান দুটির মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে ‘মা লো মা’ গানটি প্রকাশের সময়ই ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। ”

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।