ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সৃজিতের বাড়িতে অজগর, কীভাবে এল?

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
সৃজিতের বাড়িতে অজগর, কীভাবে এল?

কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাওয়া গেল অজগর সাপ! জঙ্গলের এই ভয়ংকর প্রাণীটির কি করে জনবহুল ও ইটপাথরের শহর কলকাতার একটি বাড়িতে?

সাধারণ কোনো সাপ নয়; রীতিমতো পাইথন!

জানা গেল, সাপটি নিয়ে এসেছেন সৃজিত নিজেই। বাড়িতে সবাই কুকুর-বেড়াল-খরগোশ বা নানান ধরনের পাখি পোষ্য আনেন।

কিন্তু সৃজিত আনলেন পাইথন!

এক ফেসবুক পোস্টে সে কথাই জানালেন এ নির্মাতা। সাপটির নামও দিয়েছেন ইতোমধ্যে উলূপী।

সৃজিত লিখেছেন, ‘উলুপীকে বাড়িতে স্বাগত। আমাদের জীবন চিরকালের জন্য বদলে গেল। ’

কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, সুদূর কলম্বিয়া থেকে এই পাইথনকে আনিয়েছেন সৃজিত।  

সাপটির নাম ‘উলূপী’কেন রাখলেন সৃজিত। জানা যায়,মহাভারত, বিষ্ণু পুরাণ ও ভগবৎ পুরাণে নাগকন্যা উলুপীর উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে, বনবাসে থাকাকালীন অর্জুনের সঙ্গে উলুপীর বিয়ে হয়।

আর সেই চরিত্রের নামটি নিজের পোষ্য পাইথনকে দিয়েছেন সৃজিত। তবে আপাতত, সাপটির ছবি প্রকাশ্যে আনছেন না নির্মাতা।  

পোস্টের কমেন্টবক্সে অনেকেই দেখতে চাইলে তিনি মজা করে জবাব দেন, ‘বাচ্চাদের ছবি দেওয়া ঠিক নয়। আর একটু বড় হোক, দেব। ’

অনেকের প্রশ্ন ভয়ংকর সাপকে কেন বাড়িতে পুষতে হবে?

সৃজিতের জবাব,‘পাইথন খুবই শান্ত প্রাণী। আমি অনেক ছোট থেকেই সাপখোপ সামলাতে পারি। আমার কোনো ভয় নেই। বরং এই উপমহাদেশে সাপ নিয়ে বড্ড কুসংস্কার। সেগুলো ভালো লাগে না। ’

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, সাপ পুষতে গিয়ে সৃজিত কি আইন ভেঙেছেন? কারণ ১৯৭২ সালের ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে, দেশে সাপ ধরা, মারা বা সাপের শরীরের কোনো অংশের তৈরি জিনিসপত্রকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। বিশেষ করে বিনা অনুমতিতে পাইথন ধরলে, হত্যা করলে বা বাড়িতে পুষলে, তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে।  

বিদেশ থেকে কোনো সাপকে আমদানি করে বাড়িতে পোষ্য হিসেবে রাখার প্রক্রিয়াটিও বেশ কঠিন।  

রাজ্য বন দফতরের স্পেশাল ডিউটি অফিসার কল্যাণ দাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘যে কোনো প্রাণী দেশ থেকে রপ্তানি বা আমদানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর সাপটিকে যে রাজ্যে আনা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বন দফতরের চিফ ওয়ার্ডেনের থেকেও অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় তা বেআইনি। ’

শোনা যাচ্ছে, যা যা অনুমতি প্রয়োজন, সৃজিত সেসব আগেই নিয়ে রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।