ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

নোরাকে প্রেমিকা বানাতে যে লোভ দেখিয়েছিলেন সুকেশ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
নোরাকে প্রেমিকা বানাতে যে লোভ দেখিয়েছিলেন সুকেশ নোরা ফাতেহি-সুকেশ চন্দ্রশেখর

২০০ কোটির রুপির আর্থিক প্রতারণার মামলায় সম্প্রতি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তার কথায়, সুকেশই তার জীবনকে নরক বানিয়েছেন, ইমোশন নিয়ে খেলেছেন।

জ্যাকুলিনের পর সুকেশের বিরুদ্ধে সরব হলেন আরেক অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। তার অভিযোগ, গার্লফ্রেন্ড হওয়ার শর্ত দিয়ে পরিবর্তে তাকে বিলাসবহুল জীবনযাপন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নিজের বয়ান রেকর্ড করেন নোরা ফাতেহি। এ সময় তিনি বলেন, অনেকেই দাবি করছেন- মধ্যস্থতাকারী পিঙ্কি ইরানির সাহায্য নিয়ে তিনি সুকেশের কাছ থেকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিতে চেয়েছেন। তবে আসলে সেটা ঘটেনি, সুকেশই তাকে দামি বাড়ি, গাড়ি থেকে শুরু করে সবরকম বিলাসবহুল জীবনযাপন দিতে চেয়েছিলেন, বিপরীতে গার্লফ্রেন্ড হিসেবে নিজের জীবনে তার সঙ্গ চেয়েছিলেন।

নোরার কথায়, পিঙ্কি ইরানি আমার কাজিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, সুকেশকে পেতে লাইন দিয়েছেন জ্যাকুলিন, তবে সুকেশের পছন্দ নোরাকে। শুধু জ্যাকুলিনই নন, বহু অভিনেত্রীই সুকেশের সঙ্গ পেতে চান। সুকেশের প্রস্তাবে ভয় পেয়ে যান আমার পরিবারের সদস্যরাও।

নোরা আরো জানিয়েছেন, প্রথমদিকে আমি সুকেশকে চিনতাম না, ভেবেছিলাম উনি হয়তো এলএস কর্পোরেশন নামে ওই কোম্পানিতে চাকরি করেন। সুকেশের সঙ্গে আমার কখনোই ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল না, ওর কোনো ফোন নম্বরও আমার কাছে ছিল না। আমি কোনোদিন সুকেশের সঙ্গে দেখাও করিনি। যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পক্ষ থেকে সমন পেলাম। প্রথমবার সুকেশকে দেখেছিলাম, যখন ইডি জেরার জন্য সুকেশকে আমার মুখোমুখি বসিয়েছিল।

নোরার দাবি মতো, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় তার কোনো যোগ নেই। সুকেশকেও তিনি চেনেন না। তিনি শুধুমাত্র এই চক্রের শিকার।  

যদিও জ্যাকুলিনের পাশাপাশি নোরার বিরুদ্ধেও সুকেশের কাছ থেকে দামি গাড়ি, ব্যাগ, হীরার গয়নাসহ বিভিন্ন দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই মামলায় নোরা ফাতেহিকে সাক্ষী করেছে ইডি। সাক্ষী হিসেবেই তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, এই মামলায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তার অভিযোগ, সুকেশ তার ইমোশন নিয়ে খেলেছেন। তাকে ভুল পথে চালিত করে তার ক্যারিয়ার, জীবন বিপর্যস্ত করেছেন।  

জ্যাকুলিনের দাবি, সুকেশ নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল সুকেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা. জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।