ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মহিলা সমিতির মঞ্চে প্রাচ্যনাটের ‘আগুনযাত্রা’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
মহিলা সমিতির মঞ্চে প্রাচ্যনাটের ‘আগুনযাত্রা’

মঞ্চে নতুন নাটক আনছে নাট্যদল প্রাচ্যনাট। দলটির ৪১তম প্রযোজনা ‘আগুনযাত্রা’।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে।

ভারতের নাট্যকার মহেশ দাত্তানির লেখা ‘সেভেন স্টেপ এরাউন্ড দ্য ফায়ার’ থেকে অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।

গল্পে দেখা যাবে, উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তরকামী মানুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ। এই গবেষণার সূত্র ধরে সে কমলা হিজরার হত্যাকাণ্ডের সূত্র খুঁজে পায়। কমলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আনারকলি নামে আরেক হিজড়া হাজতবাস করছে।  

উমার স্বামী জেল পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, সেই সুবাদে আনারকলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সহজ হয় উমার এবং আরো কিছু সূত্র খুঁজে খুঁজে সে হিজড়াদের ডেরায় প্রবেশ করে। উমার এই গবেষণা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সে জড়িয়ে পড়ে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে। উমার হারিয়ে যাওয়া এক ভাই বা বোন তৃতীয় লিঙ্গের। উমা যেন তাকেও খুঁজে ফেরে।  

ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটন করতে গিয়ে উমা অনেক অজানা-অচেনা জগৎ আবিষ্কার করে-সেই সঙ্গে কমলার হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদ্ঘাটিত হয়।  

লিঙ্গপরিচয় আড়াল করে কমলাকে কোনো এক মন্দিরে পুরোহিতের অজ্ঞাতে মন্ত্রীপুত্র সুব্বু বিয়ে করে। সুব্বুর এই বিয়ের খবর মন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তার আভিজাত্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দেহরক্ষী সালিমের মাধ্যমে কমলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে সুব্বুকে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুপাত্রীর সঙ্গে আবার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। বিয়ের লগ্ন শেষ হতেই সুব্বু কমলা হত্যার ঘটনা জানতে পারে এবং নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

‘আগুনযাত্রা’ নাটকে অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী, কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, চেতনা রহমান ভাষা, শারমিন আক্তার শর্মী, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, মো. আব্দুর রহিম খান, রকি খান, তানজি কুন, মো. শওকত হোসেন, ডায়ানা ম্যারলিন, ফয়সাল সাদী, আহমেদ সাকি, এ কে এম ইতমাম, তমাল, রানা নাভেদ, উচ্ছ্বাস তালুকদার।  

মঞ্চ ও আলো পরিকল্পনা করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম। সংগীত পরিকল্পনা করেছেন রাহুল আনন্দ। কোরিওগ্রাফি করেছেন স্নাতা শাহরিন। প্রপস পরিকল্পনা করেছেন তানজি কুন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আফসান আনোয়ার। ভিডিও নির্মাণ ও প্রক্ষেপণে রয়েছেন শাহরিয়ার শাওন ও রিপন কুমার দাস ধ্রুব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।