ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

স্বতন্ত্রের পোস্টার লাগালে হাত-পা কাটার হুমকি আ.লীগ প্রার্থীর!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
স্বতন্ত্রের পোস্টার লাগালে হাত-পা কাটার হুমকি আ.লীগ প্রার্থীর! সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম

নওগাঁ: নওগাঁর নিয়ামতপুরে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার যারা লাগাবে তাদের হাত-পা কেটে নেওয়া এবং ভোটের মাঠ ছেড়ে দেওয়ার হুমকিসহ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর নামে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়ামতপুর প্রেস ক্লাবে ভাবিচা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ জানুয়ারি ভাবিচা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল হকসহ তার কর্মী-সমর্থকরা সব সময়ই আমাকে এবং আমার কর্মী সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে গত ২৫ অক্টোবর মারধর ও আমার দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন নৌকা প্রার্থীর লোকজন। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণার প্রথম দিনেই উপজেলার কয়েস স্কুল মাঠে পোস্টার লাগাতে গেলে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি  নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে তারা। প্রচারণা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থকরা মটরসাইকেল আটকিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এখন নৌকা প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।

শরিফুল ইসলাম বলেন, 'ভোট কেন্দ্রে ভোটার যেতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া ডিমা এলাকার নৌকা প্রতীকের প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মী আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, 'আনারস প্রতীকের পোস্টার যারা লাগাবে তাদের হাত-পা কেটে দেওয়া হবে'।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও আমার অভিযোগের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনভাবে হুমকি, নির্বাচন ক্যাম্প ভাঙচুর ও প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে না বলে ধারণা করছি। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল হক বলেন, 'আমার নামে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি বা আমার কর্মী-সমর্থকরা শরিফুলকে কোন হুমকি দেইনি। তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে তিনি নির্বাচনে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে ভোটাররা আমাকে ভুল বোঝে। চারদিকে নৌকার গণজোয়ারে তিনিই হয়তো ভয়ে আছেন। যার কারণে এমন মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছেন আমার নামে। '

এব্যা পারে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান জানান, 'ভাবিচা ইউনিয়নে হট্টগোল হয়েছে এমন একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তারা লিখিত অভিযোগ দেবেন শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, 'নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি একটি শান্তিপূর্ণ নিবার্চন উপহার দিতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।