ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচন একটা উদাহরণ হবে: সিইসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচন একটা উদাহরণ হবে: সিইসি

নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এখানে দুটো বিষয় কাজ করে। একটা হল প্রার্থীদের নির্বাচনের সময় আচরণ এবং আচরণবিধির প্রতি তাদের আস্থা এবং সম্মান প্রদর্শন। তারপরেই আসে প্রশাসনের ভূমিকা। তাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই এই নির্বাচন পরিচালনা করতে হয়। যারা নির্বাচন কমিশনার আছেন তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নাসিক নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের যে কয়েকদিন বাকি আছে আমার মনে হয় পরিবেশ আরও সুন্দর হবে। প্রার্থীদের এজেন্টদের নিয়ে অনেক সময় কথা ওঠে। এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়না বা তাদের বের করে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা আছেন তাদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে রিটার্নিং অফিসার যারা আছেন তারা যেন সকলকে আশ্বস্ত করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে এজেন্টদের উপস্থিতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় এজেন্ট পাঠানো হয় না সেটা ভিন্ন কথা। তবে এজেন্টদের প্রটেকশন দেওয়া প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব। যদি ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে কেউ অভিযোগ করেন তাহলে তারা সেটা সুরাহা করবেন।  

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের ভোট গণনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেখানে প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে এবং আপনাদের কর্মকর্তারা থাকবে। এটা যেন সকলের সামনে করা হয় এবং নির্ধারিত জায়গায় যেন এজেন্টদের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। একেবারে স্বচ্ছভাবে যেন এই ভোট গণনা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভোট গণনার পরে ফল ঘোষণার পর অনেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করে। এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু নারায়ণগঞ্জ সিটি ছোট একটি জায়গা। আমি বিশ্বাস করি এ জাতীয় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি একটি ঐতিহ্যবাহী সিটি। এখানে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে শুধু বিমানবন্দর নেই। এই শহরে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা আছে। যারা ভোটার এবং যারা প্রার্থী তাদের ওপরই ৯০ শতাংশ সুষ্ঠু পরিবেশ নির্ভর করে।

সিইসি বলেন, নির্বাচনের পরে এখান থেকে আমাদের ডিসি ও এসপি সাহেব চলে যাবেন। তারা কিন্তু এখানে শেষ নির্বাচন দেখে চলে যাবেন। এরপরে কিন্তু তারা আর কোনো নির্বাচন দেখার সুযোগ পাবেন না। তারা সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করবেন বলে বিশ্বাস করি।  

তিনি বলেন, এতোদিন নারায়ণগঞ্জে যে পরিস্থিতি ছিল আমাদের বিভিন্নভাবে দোষারোপ করা হয়। আমি মনে করি নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচন একটা উদাহরণ সৃষ্টি হবে। পরবর্তীকালে যে নির্বাচনগুলো হবে সেখানে এই নির্বাচন প্রভাব ফেলবে। এখানে পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে আমরা সন্তুষ্ট। আমি আপনাদের সাফল্য কামনা করছি এবং সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এমআরপি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।