ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘ব্যালট খুলে দেখতে মানা করাই আমার অপরাধ’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
‘ব্যালট খুলে দেখতে মানা করাই আমার অপরাধ’

জয়পুরহাট: ‘আমি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি আদেশ পালন করছিলাম। কে নৌকার লোক, আর কে আনারস মার্কার লোক, আমি চিনি না।

দায়িত্ব পালন করার সময় এক নম্বর কক্ষে এক ব্যক্তি ব্যালট খুলে খুলে দেখার সময় আমি তাকে বাধা দিয়েছি, এটাই আমার অপরাধ। ’

ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন প্রার্থীর পক্ষে সিল মারার অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব হারানো ফেরদৌস আরা লিপি। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার দিবাকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার এক কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সিল মারার অভিযোগে এ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।  

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আয়মা-রসুলপুর হাজি মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ফেরদৌস আরা লিপির দাবি, কেন্দ্রে এক ব্যক্তি ব্যালট খুলে খুলে দেখছিলেন, এতে তিনি বাধা দিয়েছেন। এজন্য তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা যায়, লিপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সিল মারার অভিযোগ তোলেন নৌকার প্রার্থী জাহিদুল আলম বেনু। এ অভিযোগ করার পর ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরনবীর নির্দেশে বেলা ১১টার দিকে ভোট চলাকালে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।  

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা লিপির বিরুদ্ধে অক্ষম ভোটারদের হয়ে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ ওঠায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ’ 

রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরনবী বলেন, ‘প্রিজাইডিং কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে ফেরদৌস আরা লিপিকে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।