ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তৈমূরের কাছে চাঁদা দাবি: ভূয়া ডিজিএফআই সদস্য গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
তৈমূরের কাছে চাঁদা দাবি: ভূয়া ডিজিএফআই সদস্য গ্রেফতার মো. সুমন ওরফে চিত্তরঞ্জন দাস

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে গোয়েন্দা সংস্থার লোক (ডিজিএফআই) পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা সেই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার যুবকের নাম মো. সুমন (৩৬) ওরফে চিত্তরঞ্জন দাস। সে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানাধীন রামকৃষ্ণপুর এলাকার রঞ্জন চন্দ্র দাসের ছেলে। বর্তমানে চিত্তরঞ্জন রাজধানীর আদাবর এলাকায় বসবাস করেন। তিনি সম্প্রতি মুসলিম হয়েছেন  বলে জানায় ডিবি পুলিশ।  

এর আগে শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে এই ব্যাপারে তৈমূর আলম সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করলেও সেটিকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি।

লিখিত অভিযোগে তৈমূর আলম উল্লেখ করেন, তিনি আগামী ১৬ জানুয়ারির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী। গত কয়েকদিন ধরে গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) লোক পরিচয় দিয়ে (০১৬১৮-৭৪৪১১১) একটি মোবাইল নম্বর থেকে তার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন দিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছে। তৈমূর আলম বলেছিলেন, বিষয়টি বিব্রতকর। কিন্তু আমি এতটাই ডিস্টার্ব হচ্ছিলাম যে, বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে পারছিলাম না। তাই লিখিতভাবে পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করে রেখেছি।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ প্রশাসন কাজ শুরু করে। আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গোপন অভিযান চালিয়ে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক অবস্থায় সে দোষ স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।