ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আইভীর ফটকে মাইকসহ মিছিল তৈমুরের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
আইভীর ফটকে মাইকসহ মিছিল তৈমুরের

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে একাধিক হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে কয়েকশ নেতাকর্মীসহ মিছিল করেছেন। এ সময় তিনি মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বাসভবন চুনকা কুঠিরের সামনেও শো-ডাউন করেন।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর দেওভোগ এলাকায় এ মিছিল করেন তৈমুর। মিছিল নিয়ে গণসংযোগকালে তিনি চলে আসেন আইভীর বাসভবন চুনকা কুঠিরের সামনে। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে গেটে অবস্থান নেন। এছাড়া আশেপাশের মানুষরাও জড়ো হন।

নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের মিছিল, প্রচার, শো-ডাউন, সমাবেশ, ব্যানার ফেস্টুন এসব করা যাবে না। বিষয়টি যেন প্রার্থীরা মেনে চলেন সেজন্য বার বার ইসি থেকে বলা হচ্ছে। প্রার্থীদের ফোন করেও সতর্ক করছে ইসি। তবুও প্রার্থীদের এ ব্যাপারে নেই কোনো গুরুত্ব। আচরণবিধির তোয়াক্কা না করা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন ২০ ডিসেম্বর বার বার এ ব্যাপারে সতর্ক করে যেন প্রতীক বরাদ্দের দিনও কোন শো-ডাউন না হয় সেটিও জানিয়ে দিয়েছিলেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান।

এদিকে তৈমুরের মিছিলে মাইকসহ নেতাকর্মীদের নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। সেখানে সরাসরি ভোট না চাইলেও তিনি 'যোগ্য প্রার্থী, দোয়া চান' সহ নানা স্লোগান দেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইভী জানান, কী আর বলব, আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র কিনতে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে শো-ডাউন করেন তৈমুর। ১৫ ডিসেম্বর জমা দিতে যাওয়ার দিনও একইভাবে শো-ডাউন করেন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর বন্দরের নবীগঞ্জে কদমরসূল দরগাহে নেতাকর্মীসহ বিশাল মিছিল করেও আচরণবিধি ভাঙেন তৈমুর। যদিও তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসির কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অন্য প্রার্থীরা মনে করেন যেহেতু তৈমুর হেভওয়েট প্রার্থী তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও ইসি তেমন ব্যবস্থা নেবে না।

এ ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, আচরণবিধি সম্পর্কে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে প্রার্থীদের। আইন সবার জন্য সমান। কেউ আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না করে, করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।