ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নড়াইল-কালিয়া পৌরসভা নির্বাচন

আওয়ামী লীগে বিদ্রোহীর ভয়, বিএনপিতে একক প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
আওয়ামী লীগে বিদ্রোহীর ভয়, বিএনপিতে একক প্রার্থী

নড়াইল: নড়াইল সদর ও কালিয়া পৌরসভার নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি। দুই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

দুটি পৌরসভাতেই বিএনপিতে একক প্রার্থী। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বিএনপি প্রার্থীরা বলছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে তারাই জয়ী হবেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নড়াইল পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৪ হাজার ৭১৩ জন। মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী। কালিয়া পৌরসভায় ভোটার ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। এখানেও মেয়র পদে প্রার্থী ৪ জন।

কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা)। তিনি গতবারও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বিজয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান। মুশফিকুর রহমান স্থানীয় নড়াইল-১ আসনের এমপি বিএম কবিরুল হকের (মুক্তি বিশ্বাস) ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে ফকির মুশফিকুর রহমান এবারও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএম এমদাদুল হক। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শ.ম ওয়াহিদুজ্জামান (মিলু)।

ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, গতবারের চেয়ে এবার তিনগুণ বেশি ভোট পাব। কারণ গত পাঁচ বছরে মেয়র হিসেবে জনসেবা করেছি। দল থেকে বহিষ্কার করলেও কিছু আসে যায় না। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। সারাজীবন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো। আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করি। দলের অন্ধভক্ত আমি। আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী বি.এম এমদাদুল হক আপাতত নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান বলছিলেন, জনগণ আমার পক্ষে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ী হবো। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
    
এদিকে বিএনপি প্রার্থী শ.ম ওয়াহিদুজ্জামান জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, কালিয়া পৌরসভায় বিএনপির ভোট বেশি। তারপরও দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের (আওয়ামী লীগের)। এখনো নির্বাচনের পরিবেশ আছে। সমস্যা হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুু নির্বাচন হলে জয় নিশ্চিত।

নড়াইল সদর পৌরসভায়ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিদ্রোহী প্রার্থীর মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, আমি নির্বাচনের মাঠে থাকবো ইনশাল্লাহ। কারচুপি না হলে জয়ের মালা আমারই হবে।

নড়াইল পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান আরা। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি তিনি।

এখানে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী। তিনি বলেন, নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট হয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এছাড়া এখানে মাশরাফি বিন মুর্তজার মত মানুষ এমপি, তাই ভোট সুষ্ঠু হবে বলে বিশ্বাস। আর সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচিত হবো। এছাড়া ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন মওলানা মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।