ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আনিসুল হক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে গেছেন: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
আনিসুল হক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে গেছেন: তাপস

ঢাকা: প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর জিগাতলায় বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাংকুয়েট হলে বিজিএমইএ, বিটিএমইএ, এবং বিকেএমইএ আয়োজনে 'শহর নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
 
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র প্রয়াত আনিসুল হককে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, একজন সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও আমি মেয়র পদে যখন নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, এর পেছনে অনেকটাই অনুপ্রেরণা হিসেবে আনিস ভাই কাজ করেছেন।

আনিস ভাইয়ের কর্মপ্রেরণায় আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মনে করেছি সততা নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে পরিবর্তন সম্ভব। এটা আনিস ভাই প্রমাণ করে গেছেন।

তিনি বলেন, আরও একটি বিষয় আমাকে মেয়র নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বেশি সহায়তা করেছেন তা হচ্ছে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মাত্র ১১ বছরে বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তিনি স্বল্পোন্নত একটি দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।  

‘১১ বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় ছিল মাত্র ৫৬০ ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০০ ডলার। আমাদের জাতীয় বাজেট ছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা, সেখানে এখন বাজেট পাঁচ লাখ কোটি টাকার উপরে। বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন ২০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। ’

শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন আমাদের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। সেই উন্নত বাংলাদেশের একটি উন্নত রাজধানী প্রয়োজন। কিন্তু সেই উন্নত রাজধানী আমরা পাচ্ছি না। আমরা দিনে দিনে আমাদের সেই প্রাণের ঢাকাকে হারিয়ে ফেলছি। আমরা যদি এখনই ঢাকাতে উন্নত করার কাজ শুরু করতে না পারি তাহলে আর সুযোগ নাও হতে পারে।  

‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যেটা শুরু করে দিয়ে গিয়েছিলেন আনিসুল হক। উত্তর সিটি করপোরেশনে আনিসুল হক নেই কিন্তু সেই পরিবেশ এখনো রয়ে গেছে। কাউকে না কাউকে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা যদি এখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারি তাহলে ঢাকাকে উন্নত ঢাকায় পরিণত করা সম্ভব। ’ 

ঢাকার উন্নয়নে পাঁচটি মহাপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী তাপস বলেন, দুটি নদীর অববাহিকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির অবস্থান হওয়ার পরেও আমরা আমাদের সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারিনি। আমরা ঢাকার ঐতিহ্যকে স্বকীয়তা বজায় রেখে পুনরুজ্জ্বীবিত করতে চাই। উন্মুক্ত খেলার মাঠ রাখতে চাই যেখানে আমাদের সন্তানরা খেলবে, ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়ি চলার ব্যবস্থা করতে চাই। এলাকার মুরব্বিদের সমন্বয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। নগর ভবনে একটি হেল্প লাইনের করবো নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে। এছাড়াও মেয়রের সঙ্গে ঢাকাবাসীর সরাসরি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করবো। এভাবেই আমরা আমাদের উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষে কাজ করতে চাই।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, অনেকেই হয়তো ব্যক্তি তাপসকে পছন্দ নাও করতে পারেন। আবার অনেকে তাপসকে পছন্দ করলেও তার নির্বাচনের প্রতীককে পছন্দ নাও হতে পারে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচন। তাই আমার সবার কাছে আবেদন দল-মত-নির্বিশেষে উন্নত ঢাকার জন্য, আপনার কাঙ্ক্ষিত ঢাকার জন্য পহেলা ফেব্রুয়ারি নৌকা মার্কায় রায় প্রদান করুন।  

‘কারণ আপনাদের রায় আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের শক্তি সঞ্চয় করবে। আনিসুল হকের মতো ব্যক্তিরা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে গেছেন। আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট, প্রত্যেকটা রায় আমাদের জন্য শক্তি সঞ্চয় করবে। ’

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ-র সভাপতি ড. রুবানা হক, বিটিএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বিকেএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ পোশাক প্রস্তুতকারী সংগঠনসমূহের নেতারা।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
আরকেআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।