ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকার ভোটেও সিইসির তেলেসমাতি কিনা, সন্দেহ রিজভীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ঢাকার ভোটেও সিইসির তেলেসমাতি কিনা, সন্দেহ রিজভীর

ঢাকা: চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ঢাকাতেও নিজের তেলেসমাতি অক্ষুণ্ন রাখবেন কিনা সেটি নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘চট্টগ্রামের মতো ঢাকার দুই সিটির ভোটেও ভোটের আগে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি, হামলা আর ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে।

ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদের প্রতিনিয়ত নিগৃহীত করা হচ্ছে। ’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সুষ্ঠু ভোটের ন্যূনতম সুযোগ নেই দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনও চট্টগ্রামের মতো দখলের নীলনকশার প্রস্তুতি কিনা তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঢাকাতেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রচারণার সময়ে গ্রেফতার অভিযান করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন গ্রেফতার-অভিযান ও হামলা চলছে এবং হামলার মাধ্যমে একটা ভয়ভীতির পরিবেশ তারা সৃষ্টি করেছে। ’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘গত বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজকে রাজধানীর লালবাগ কেল্লার মোড় থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সমর্থকদের ওপর চলছে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া হামলা-নির্যাতন। ’

তিনি বলেন, ‘পিজি হাসপাতালের (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) মেডিক্যাল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, তার বর্তমান অবস্থায় অ্যাডভান্স চিকিৎসা দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কারণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার জোরালোভাবে দাঁড়ানো এই নেত্রীকে কোনোভাবেই সরকার সহ্য করতে পারছে না। এজন্য এক দুর্বিষহ মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে সরকার কাজ করছে। বর্তমান সরকারপ্রধান মতভিন্নতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন বলেই দেশনেত্রী আজ কারাগারে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।