ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আপনারা চাইলে ইভিএমে নির্বাচন করবো না, কর্মকর্তাদের সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
আপনারা চাইলে ইভিএমে নির্বাচন করবো না, কর্মকর্তাদের সিইসি

ঢাকা: আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত এক কর্মশালায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, আপনারা যদি বলেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন করা যাবে না, তাহলে সেটা করবো না।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ইটিআইয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল হুদা বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন পরিচালনায় কোনো অসুবিধা দেখিনি।

আমরা সুফল পেয়েছি, তাই এ ব্যবস্থা ধরে রেখেছি।

কর্মকর্তাদের  উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক হবে। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক প্রার্থীর কার কী ধর্ম, বর্ণ, রং, রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, সেটি নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদের দেখার বিষয় নয়। প্রত্যেকের সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে। প্রত্যেকের কথা ধৈর্য নিয়ে শুনতে হবে। নীতি-নির্ধারণী এলাকা ছাড়া সব দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত রয়েছে। সেখানে ছন্দ, গদ্য, পদ্যের দরকার নেই। বাস্তব প্রেক্ষাপটে কী আছে সেটা দেখতে হবে। অনেকে অনেক লালিত-পালিত কথা বলবে। কিন্তু আপনারা মাঠে থাকবেন। যা দেখবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। সমস্যা হলে ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনের অনেক পরিপত্র জারি হয়ে গেছে। সেখানে সব নির্দেশনা আছে।

তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে ইভিএমে টিকে আছি। আপনারা (কর্মকর্তারা) অনেকে ইভিএমে নির্বাচন করেছেন। ইভিএম নির্বাচন পরিচালনায় কোনো অসুবিধা দেখিনি। এর মাধ্যমে সফলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। ইভিএম যারা মাঠে-ময়দানে দেখেন, প্রয়োগ করবেন, তাদের কাছে সন্দেহ থাকলে আমাদের বলবেন। যদি সবাই বলেন, এটা দিয়ে ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায় না, তাহলে করবো না।  

সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে আমরা সুফল পেয়েছি। তাই ধরে রেখেছি। ভোটাররা যেন তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে।

তিনি বলেন, রাজনীতির ভোটের দিকে সবার নজর থাকে। পৃথিবীর নানা রকমের কূটনৈতিক মহলের দৃষ্টি থাকে। তাই নির্বাচন পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস ও আস্থার সঙ্গে বলতে চাই, আপনারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় দল, মত, আদর্শের প্রতি দুর্বলতা থাকতে পারে না।  

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রহণযোগ্য ও আইনানুগ নির্বাচন চায় ইসি। সবাইকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কোনো অনিয়ম যাতে না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, ইভিএম পরিচালনায় প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে সেনাবাহিনীর টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের ওপরেই কমিশনের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। প্রার্থীরা যেন লেভেল প্লেইং ফিল্ড পায়, সেভাবে কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইসি।  

এসময় ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।