ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বয়স ৬ বছর পূর্ণ হলে স্মার্টকার্ড দেবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
বয়স ৬ বছর পূর্ণ হলে স্মার্টকার্ড দেবে ইসি

ঢাকা: দেশের সব নাগরিককে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে জন্মের পর শিশুদের সব তথ্য নিয়ে ছয় বছর বয়স পূর্ণ হলেই দেওয়া হবে স্মার্টকার্ড।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশের সব নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়া সংক্রান্ত কমিটি সম্প্রতি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির সুপারিশ কমিশনে অনুমোদন হলেই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সব নাগরিককে এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম চালু করতে এক বছর বয়সী শিশুদের তথ্য নেবে নির্বাচন কমিশন। তাদের দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেবে ছয় বছর বয়স পূর্ণ হলে। কেননা, ছয় বছরের আগে আঙুলের রেখা স্পষ্ট হয় না। তাই ছয় বছর বয়স পূর্ণ হলে তথা ছয় বছর প্লাস শিশুদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে।

এ কার্যক্রমের জন্য ওই কমিটি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করেছে। এতে সফলতা এলে তা দেশের সব উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

এভাবে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করার পর যাদের বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখনই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।

ইসি কর্মকর্তারা বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সীদের এনআইডি না থাকার কারণে বিভিন্ন সেবা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে পাসপোর্ট, ভিসা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফটো আইডি সংক্রান্ত পরিচিতি নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি কাজে এনআইডি খুব কাজে দেয়। এসব বিবেচনায় সব বয়সীদের এনআইডি দিতে চায় সংস্থাটি।

বর্তমানে ১৪ বছর বয়সীদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। যারা ১৮ বছর পূর্ণ হলে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সব বয়সীদের এনআইডি সরবরাহে কার্যক্রম চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটি কাজ করছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলেই কার্যক্রম শুরু হবে।

এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে সে তালিকার ভিত্তিতেই সে সময়কার নয় কোটি ভোটারকে লেমিনেটিং করা কাগজে এনআইডি সরবরাহ করা হয়।

শামসুল হুদা কমিশন ২০১১ সালে নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একটি প্রকল্প হাতে নেন। আইডিইএ নামের সে প্রকল্পের অধীনেই বর্তমানে স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে।

এ প্রকল্প শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। এরপর সরকারি তহবিল থেকে প্রকল্প নিয়ে সব নাগরিকের স্মার্টকার্ড সরবরাহের কার্যক্রম ধারাবাহিক রাখবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।