ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বগুড়া-৬ উপ-নির্বাচন: বিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল!

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
বগুড়া-৬ উপ-নির্বাচন: বিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল!

ঢাকা: আসন্ন বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ‘ইকেলটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি’ গঠন করে এমনটিই জানিয়েছে সংস্থাটি।

একজন যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ এবং একজন সিনিয়র সহকারী জজের সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটি কারও অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করবে।
 
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব বিপ্লব দেব নাথ স্বাক্ষরিত কমিটির কার্যপরিধি সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন পূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়) আচরণ বিধি লঙ্ঘন, কোনো প্রার্থীর নামে অপপ্রচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখিত যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে কমিটি সে বিষয়ে তদন্ত করবে।

সেই তদন্তসাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করবে কমিটি। এক্ষেত্রে তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-মেইলে সুপারিশ করার জন্য কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
 
নির্বাচন কমিশন সেই সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থী ওই ধরনের অপরাধ তাৎক্ষণিক বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেবে। আর সেটা পালন না হলেই জরিমানা দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দলের জরিমানা গুনতে হবে একলাখ টাকা। আর কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

গণপ্রতিধিত্ব আদেশ ৯১(এ) দফার ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী, কমিটির সামনে যে কোনো কার্যক্রম দণ্ডবিধির ১৯৩ ও ২২৮ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের যে কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও শপথপূর্বক তাকে পরীক্ষণ এবং দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপনের ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান সংক্রান্ত যেসব ক্ষমতা রয়েছে সে সকল ক্ষমতা কমিটির থাকবে।
 
আগামী ২৪ জুন বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এ আসনটি থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণ না করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। যে কারণে তফসিল দিয়ে আসনটিতে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
এ নির্বাচন মোট সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত এসএম টি জামান নিকেতা, বিএনপি মনোনীত গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, জাতীয় পার্টি মনোনীত নুরুল ইসলাম ওমর, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু ও ব্যবসায়ী মিনহাজ।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিএনপির হেভিওয়েট কেউ এ আসনটিতে প্রার্থী না হওয়ায় ফলাফল কী দাঁড়ায়, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছে অনেকেই। তাই নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।