ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন হবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন হবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেরার হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, ভোট একটি উৎসব। এই উৎসবে সকল ভোটারদের অংশগ্রহণ করা উচিৎ।

এখন যদি কেউ ভোট দিতে না আসে সেজন্য নির্বাচন কমিশনের কী করার আছে? তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার।  

বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টায় বরিশাল নগরীর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এতে তাদের সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই আসবে না। আর যদি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে তাহলেও হয় না। যে কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ১৮ তারিখের নির্বাচনে যেসব উপজেলায় শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো সেখানে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ভোট কাস্টিং হয়েছে।  

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবেই হচ্ছে। ইতোপূর্বে দুটি ধাপে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রিজাইডিং অফিসাররা জেলেও গেছেন। পরবর্তী নির্বাচনও হবে ফ্রি এন্ড ফেয়ার। এর ব্যতয় হলে এখানেও সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না।  

‘যদি আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত হন, তাহলে তাদেরও সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না। কোনো ভোটার বাধাপ্রাপ্ত হবে না। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে তার ভোটটা না দিয়ে যাবেন না, ভোটটা তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই দেবেন। ’

সকালে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ভোট কারচুপি হয়-এজন্য আমাদের কমিশন এই উদ্যোগ নেয়নি। বরঞ্চ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং ভালোর কথা চিন্তা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অনেক নারী প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন।  

তিনি বলেন, যাদের রাতভর ভোট কেন্দ্রে থাকতে হয়। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের না ঘুমিয়ে থেকে আবার দিনভর নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতে তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় বলেই আমরা দিনে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর কথা বলছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা আমাদের দেশের মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি।  

২৪ মার্চ বরিশাল জেলার ৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সার্কিট হাউজে নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস।  

বিশেষ এ সভায় বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার মো. মোশাররফ হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, বিজিবি খুলনার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আরশাদুজ্জামান খান, ডিজিএফআই-এর অধিনায়ক কর্নেল জিএম শরিফুল ইসলাম, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮) অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস মিয়াসহ বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলা‌দেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।