ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাজশাহীতে ১৬ প্রার্থীর জামানত বাতিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
রাজশাহীতে ১৬ প্রার্থীর জামানত বাতিল প্রতীকী ছবি

রাজশাহী: রাজশাহীর সংসদীয় ছয় আসনের সবগুলোতে হাতপাখার প্রার্থীসহ ১৬ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার বিভিন্ন দলের ২৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এরমধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের দুই প্রার্থীসহ ১৬ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে এক-অষ্টমাংশের চেয়ে কম ভোট পেলে নির্বাচনের নিয়েমেই তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস.এম. আব্দুল কাদের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর এতে স্বাক্ষর করেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর): নির্বাচনে এই আসনে মোট চার প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ১৪৫টি কেন্দ্রে মোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৪টি।  

এর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুই প্রার্থীর। এদের একজন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল মান্নান। তিনি হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬৭৯টি। সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের আলফাজ হোসেন মই প্রতীকে ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫২। বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৮।

রাজশাহী-২ আসন (সদর): এই আসনে প্রদত্ত ভোট সংখ্যার ভিত্তিতে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে ২ হাজার ১২৯, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী এনামুল হক কাস্তে প্রতীকে ৪৫৩ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন আম প্রতীকে ২০৭ ভোট পেয়েছেন। ১০৪টি কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫২ ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ২১ হাজার ৫৬৯ জন। আর ২ হাজার ৪০৫টি ভোট বাতিল হয়েছে।

রাজশাহী-৩ আসন (পবা-মোহনপুর): এই আসনে মোট পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিন প্রার্থীরা জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরা হলেন- ইসলামী আন্দোলনের ফজলুর রহমান (হাতপাখা) ৯২৫, বিকল্প ধারার মনিরুজ্জামান (কুলা প্রতীক) ৪৯১, সাম্যবাদী দলের সাজ্জাদ আলী (চাকা প্রতীক) ১৭৩ ভোট পেয়েছেন। রাজশাহীর এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৫। ১২০টি কেন্দ্রে মোট প্রদত্ত ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৮। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৬০৫টি।

রাজশাহী-৪ আসন (বাগমারা): এই আসনে চারজন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৭ হাজার ২৮১ প্রদত্ত ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিন প্রার্থীর। এর মধ্যে বিএনপির আবু হেনা (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের তাজুল ইসলাম খান (হাতপাখা) পেয়েছেন ৪৯৮ ভোট, বিকল্প ধারার সরদার মোহাম্মদ সিরাজুল করিম (কুলা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮। ১০৬টি কেন্দ্রে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৭০৮।

রাজশাহী-৫ আসন (পুঠিয়া-দুর্গাপুর): এই আসনে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত অন্য তিন প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) আবুল হোসেন ২ হাজার ২৫, ইসলামী আন্দোলনের রুহুল আমিন (হাতপাখা) ৬৩৭, জাকের পার্টির শফিকুল ইসলাম (গোলাপ ফুল) ৫০৫ ভোট পেয়েছেন।  

এই আসনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ১ হাজার ৬৭৬। ১১৩টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২১ হাজার ৮১১। বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৭টি।

রাজশাহী-৬ আসন (বাঘা-চারঘাট): এই আসনে তিনজন প্রার্থী ছিলেন। এরমধ্যে মোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৮। এই সংখ্যার হিসাবে দুই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আব্দুস সালাম সুরুজ (হাতপাখা) ৭ হাজার ৮৭১, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল) ৪ হাজার ১৬২ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪ হাজার ২৯৮। ১০৭টি কেন্দ্রে নির্বাচনে ৪ হাজার ৪৪১টি ভোট বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।