ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ড. কামালের সংবাদ সম্মেলন পিছিয়ে রাত ৮টায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
ড. কামালের সংবাদ সম্মেলন পিছিয়ে রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ড. কামাল হোসেনের জরুরি সংবাদ সম্মেলন পিছিয়ে রাত ৮টায় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। 

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। এর আগে দুপুরে রাজধানীর আরামবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানান।

 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামিম বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।  সন্ধ্যায় বেইলি রোডে ড. কামালের বাসভবনে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হবে। এরপর ফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।  

স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসছেন বলেও জানান তিনি।   

এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখনও দফায় দফায় আমাদের কাছে সারাদেশের ভোট দুর্নীতির খবর আসছে। সব খবর এখনও এসে পৌঁছায়নি। খবর এখন পর্যন্ত অনেক এসেছে। সেগুলো আমরা সমন্বয় করছি। মিনিটে মিনিটে সারাদেশ থেকে খবর আসছে। আমি অনেক দুঃখের সঙ্গে বলছি, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকছি। আমি গভীরভাবে এই নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভোটের জন্য যে আনন্দ উল্লাস হওয়া উচিৎ ছিল তা কারও মধ্যে নেই। কারণ একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাছাড়া এই দুপুরের মধ্যে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সুখবর পাইনি যে সারাদেশে কোথাও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভোটের প্রয়োজনীয়তা কত বেশি তা আমরা জানি। ১৯৭১ সালে আমরা ভোট দিয়ে জিতেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তান সরকার জোর করে আমাদের উপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছিল। ভোটাধিকার আদায়ের জন্য একাত্তরে আমরা প্রাণ দিয়েছি। তাই আমরা ভালোভাবে উপলব্ধি করি।

সংবিধান অনুসারে জনগণ সব ক্ষমতার মালিক উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, আমি, আপনারা, আমরা সবাই রাষ্ট্রের মালিক। এই মালিকানা ভোটের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়। ৩০০ এলাকায় জনগণের দায়িত্ব নিতে প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ায়। অনেক ঝড়-তুফানের মধ্য দিয়ে আমরা এই গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখেছি। তবে এই মালিকানা আমরা ধরে রাখতে পারছি কি-না তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।  

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরীসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮/আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।