ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী অনিয়মে শাস্তি বৃদ্ধিসহ আইনে কয়েকডজন সংশোধন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
নির্বাচনী অনিয়মে শাস্তি বৃদ্ধিসহ আইনে কয়েকডজন সংশোধন নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর বেশকিছু ধারায় সংশোধন আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নির্বাচনে দায়িত্বরতদের প্রত্যাহারের পাশাপাশি বদলি, বড় জেলায় দু’জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, সমভোট প্রাপ্তদের মধ্যে লটারির পরিবর্তে পুনর্নির্বাচনসহ অন্তত ৩০টি ধারায় সংশোধনী আনা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আগেও বেশ সভা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের (১২ এপ্রিল) সভায় সংশোধনের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।

আরপিওতে যে সংশোধনীগুলো আনা হচ্ছে-

২ ধারায়, ব্যক্তিগত ব্যয়ের কোনো সংজ্ঞা বা ধারণা না থাকায় নতুন করে বিধান সংযোজন।

৭ (৫) ধারায়, কোনো জেলায় দু’জন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা যেতে পারে। একজন রিটার্নিং অফিসারের পুরো জেলায় নির্বাচন কার্যক্রম তদারকির সুযোগ থাকে না। এ সমস্যা দূর করতে জেলার পাশাপাশি আসনও যোগ করার বিধান সংযোজন।

৭ (৬) ধারায়, নির্বাচিত দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রত্যাহারের পাশাপাশি বদলির বিধান সংযোজন।

৮(২) ধারায়, ২৫ দিন আগের স্থলে ভোটের ১৫ দিন আগে কেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ।

৯(১)(ধ) ধারায়, তিনদিন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল উন্মুক্ত রাখার বিধান যোগ।

১২ (১)(স) ধারায়, ঋণখেলাপিদের জটিলতা কমাতে মনোনয়ন দাখিলের সাতদিন আগের পরিবর্তে দাখিলের আগের দিন তা পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার বিধান।

১২ (৩) ধারায়, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের বিধান যুক্ত করা।
১২ (৩এ)(এ) ধারায়, স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটের পরিবর্তে ১০০০ ভোটার সমর্থন তালিকা জমার বিধান যোগ করা।

১২ (৩এ)(সি) ধারায়, প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করার বিধান সংযোজন।

১২ (৩বি)(এ) ধারায়, সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কশিট জমা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি।

১৩ (১) (এ) ধারায়, জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার বিধান যোগ।

১৫ (২) ধারায়, মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান থাকায় করণীয় ত্রুটি ঠিক করা।

১৬ (১) ও ১৯ (১) ধারায়, বিদ্যমান বিধানকে সহজ করতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী হলে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা। সহজীকরণের বিধান সংযোজন।

২০ (এ) ধারায়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ইভিএম ব্যবহারের জন্য নতুন বিধান সংশোধন করা।

২২ (১) ধারায়, প্রার্থীদের সুবিধার্থে নির্ধারিত ফরমে পোলিং এজেন্ট নিয়োগে সংশোধন।

২২ (৩) ধারায়, পোলিং এজেন্টকে প্রার্থীর প্রতীক সম্বলিত কার্ড না দিয়ে ইসির পরিচয়পত্র দেওয়ার বিধান।

২২ (এ) ধারায়, পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দফা সংযোজন।

২৭ (১)(২) ধারায়, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোট নিশ্চিতে আগাম ভোটিং ব্যবস্থা।

২৮ (৪) (এএ) ধারায়, বিদ্যমান কনসার্ন বানান সংশোধন।

৩১ (১) ধারায়, ইভিএমে ভোট নিতে হলে এ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
৩৭ (২) ধারায়, রিটার্নিং অফিসারকে আইনত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার ও মালামাল সম্বলিত ব্যাগ খুলে পুনঃনিরীক্ষার বাধ্যবাধকতা সংশোধন।

৩৮ ধারায়, লটারির পরিবর্তে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের বিধান সংযোজন।

৩৯ (১) ও ৩৯ (২) ধারায়, এতে আরও দু’টি অনুচ্ছেদ সংশোধনী আনতে হবে।

৪৪ বি (৬) ধারায়, নির্বাচনী ব্যয় সীমাবদ্ধ রাখা ও অবৈধ প্রভাব রোধে মনিটরিং কমিটি গঠনের বিধান।

৪৪ সিসিসি (৫) ধারায়, সময়ের বাস্তবতায় নির্বাচনী ব্যয় যথাসময়ে দিতে ব্যর্থ হলে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান।

৪৪ই(২) ধারায়, সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে সরাসরি বদলি করার বিধান করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ।

৯১ সি (৮) ধারায়, ভোটে কর্মকর্তাদের অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব, দল বা প্রার্থীর অনিয়ম, আচরণবিধি লঙ্ঘনে খোঁজ নিয়ে তৃতীয় চোখ নিয়োগ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদেরও পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার বিধান সংযোজন।

৯১ এএ ধারায়, নির্বাচনী অভিযোগ দাখিল ও নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে বিভিন্ন দেশে। অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপনের বিধান যোগ।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।