ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘কালো টাকা’র প্রভাব ঠেকাতে ব্যয় পর্যবেক্ষণ করবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮
‘কালো টাকা’র প্রভাব ঠেকাতে ব্যয় পর্যবেক্ষণ করবে ইসি নির্বাচন কমিশন

ঢাকা: আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব ঠেকাতে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থী আইনে নির্ধারিত ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলেই প্রার্থিতা বাতিলসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধি অনুযায়ী, কোনো সিটির ভোটার সংখ্যা দশ লাখের বেশি এবং বিশ লাখের কম হলে প্রার্থী তার ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারেন দেড় লাখ টাকা। নির্বাচনী ব্যয় করতে পারেন ত্রিশ লাখ টাকা।

গাজীপুর সিটিতে ভোটার সংখ্যা লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫। তাই এ সিটিতে মেয়রপ্রার্থীরা সাড়ে ৩১ লাখ পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবেন।
 
অন্যদিকে কোনো সিটির ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখের কম হলে মেয়র পদপ্রার্থী তার ব্যক্তিগত ৭৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন ১৫ লাখ টাকা।
 
নির্বাচনে ইতিহাসে এ ব্যয়সীমা প্রভাবশালী প্রার্থীরা কখনোই মানেননি বলেই অভিযোগ পর্যবেক্ষকদের। তারা সম্প্রতি ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিংয়ের প্রস্তাব দেয়। নির্বাচন কমিশনও তাতে সাড়া দিয়ে ব্যয় মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 
সে সিদ্ধান্ত থেকেই নির্বাচন কমিশন গাজীপুর সিটি ও খুলনা সিটি নির্বাচনের জন্য দুই পৃথক কমিটি গঠন করে দিয়েছে ব্যয় মনিটরিংয়ের জন্য। ছয় সদস্যের এই কমিটির প্রধান হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজে। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি ও একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
 
এই কমিটির তিন প্রধান কাজ হচ্ছে-
 
১) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বিবরণীর সঙ্গে মিল রেখে কাজ করছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে।

২) সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধি অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যয় করছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করবে।
 
এই কমিটিকে ব্যয় পর্যবেক্ষণ করে প্রতি দু’দিন পরপর প্রতিবেদন ইসিতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। যার অনুলিপি মন্ত্রপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কেও পাঠানো হয়েছে।
 
নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচিত হওয়ার পরও তার প্রার্থিতা বাতিলেরও ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের।
 
এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে অনেকেই আইনের নির্ধারিত ব্যয়সীমা অতিক্রম করেন। অনেকে টাকার প্রভাব বিস্তার করেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। এজন্য প্রার্থীদের ব্যয় মনিটরিংয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।