ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘বর্তমান অবস্থায়’ খালেদা ভোট করতে পারবেন না: সিইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
‘বর্তমান অবস্থায়’ খালেদা ভোট করতে পারবেন না: সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছেন, সে অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। তবে এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতের এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কাজ করতে হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের খাস কামরায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন সিইসি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কেএম নুরুল হুদা বলেন, আমার যেটা মনে হয়, আমিও ছোটখাট একজন বিচারক ছিলাম, এডিএম ছিলাম, সামান্য জ্ঞানে যেটা মনে হয়, এখন তিনি যে অবস্থানে আছেন, নির্বাচন করতে পারবেন না।

এখন তিনি কনভিকটেড (দণ্ডিত)। এরপর সুপিরিয়র কোর্টে (সর্বোচ্চ আদালতে) গেলে যে রকম নির্দেশ আসবে, সেরকম হবে।

বিচারাধীন থাকাকালে নির্বাচন করা যায়, আবার করা যায় না, এমন দু’টি মতের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কী হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এসব বিষয়গুলোতে সবসময়ই উচ্চ আদালতের নির্দেশের ওপর আমাদের কাজ করতে হয়।

সিদ্ধান্তের জন্য তবে ইসি উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকবে কি-না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, তাকিয়ে থাকবো মানে হলো- তারা যদি আপিল করেন, তখন একটা পরিস্থিতি। এখন পর্যন্ত যেহেতু আপিল করেননি, এখন একটা পরিস্থিতি। যেহেতু আপিল করেননি, তার মানে তিনি দণ্ডিত অবস্থায় আছেন। সুতরাং এই অবস্থায় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তারপর উচ্চ আদালতে গেলে কী নির্দেশনা আসে, তার ওপরে নির্ভর করে আমাদের সিদ্ধান্ত হবে।

যদি বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচনে আসতে না পারেন, তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি-না, এমন প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, এতো দূরের কথা বলা যাবে না। অনেক সময় আছে। নির্বাচন তো অনেক দূরে। কী অবস্থা হবে তা বলা মুশকিল-কঠিন। আমাদের কাছে সুপ্রিম কোর্ট আছে, তারপর আমরা আছি। আমি আশা করি যে, এই সমস্যার সমাধান হবে এবং আমি এও আশা করি যে, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং সব সমস্যার সমাধান হোক।  

বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে সেটা সংশোধনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা তো তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করবো না। তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে। আমাদের কাছে জমা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের অনেক মামলা প্রক্রিয়াধীন। এসব মামলার বিবাদী হিসেবে সিইসি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেন কি-না? এমন একটি প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, এটা তো তার চেম্বার। মামলা-মোকদ্দমা যেগুলো আমরা ফেস করি, সেগুলো কোর্টের মাধ্যমে হয়, আমাদের আইনজীবী আছেন। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আমরা যা দেই, তার ওপরে হয়।

নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে বিচার বিভাগ কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে? এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য হাইকোর্টের ভূমিকা হলো, আমরা যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারি, আইনের জটিলতা যদি থাকে, সেটা কিভাবে নিষ্পত্তি করে সময়মত নির্বাচনী প্রক্রিয়া উত্তরণ করা যায়, এসব সহযোগিতা করে থাকে সবসময়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।