ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটারপ্রতি ১.৭০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন মেয়রপ্রার্থীরা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
ভোটারপ্রতি ১.৭০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন মেয়রপ্রার্থীরা

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ভোটারপ্রতি মেয়রপ্রার্থীরা সর্বোচ্চ ১ টাকা ৭০ পয়সা ব্যয় করতে পারবেন। ভোটার সংখ্যা অনুপাতে প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনায় এ ব্যয় নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ও ডিএনসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বাংলানিউজকে জানান, আইন নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী ডিএনসিসির নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীদের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা।
 
এ সিটিতে ভোটার রয়েছে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ জন।

এক্ষেত্রে ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় দাঁড়ায় ১ টাকা ৭০ পয়সা।
 
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনে ভোটার ছিল ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৩ জন। সে সময় ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা।
 
ডিএসসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১৫ হাজার ভোটারের ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা এবং ৫০ হাজার ও তার বেশি ভোটারের ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। একই বিধান প্রযোজ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনেও।
 
নির্বাচন পরিচালনার অর্থ পোস্টার, প্রচারকাজসহ আনষঙ্গিক ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। এছাড়া মেয়রপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন। আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে ভোটার ভেদে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন।
 
প্রার্থীকে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় তার এজেন্টের মাধ্যমে করতে হবে। আর ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে। আইনের এই বিধান লঙ্ঘন করলে বা কোনো প্রার্থী বেশি ব্যয় করেছেন বলে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলও করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
 
নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, অনধিক ৫ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ ১ থেকে ১০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা, ১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং ২০ লাখ এক থেকে তার বেশি ভোটার সম্বলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা মেয়র পদপ্রার্থীরা ব্যয় করতে পারবেন।
 
কাউন্সিলর প্রার্থীরা ১৫ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।
 
আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন।
 
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদ, ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ এবং ডিএসসিসি ১৮ নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৮ জানুয়ারি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।