ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সম্পত্তি বেড়েছে বীর বাহাদুরের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
সম্পত্তি বেড়েছে বীর বাহাদুরের

বান্দরবান: ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসন পার্বত্য বান্দরবানে টানা ৬ বারের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।  

দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য থাকায় তার সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। গত ৫ বছরের ব্যবধানে বছরে আয় বেড়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫২৪ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  

এবারের হলফনামায় বীর বাহাদুর উশৈসিং তার বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তিনি বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ টাকা। সে অনুযায়ী গত ৫ বছরের ব্যবধানে বছরে তার আয় বেড়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫২৪ টাকা। তার আয়ের সবচেয়ে বড় খাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ও ফ্ল্যাট ভাড়া।

সেখান থেকে তিনি ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩১ টাকা আয় দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় আয়ের খাত অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া দেখানো হয়েছে। ব্যবসা থেকে আয় ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১২ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন এফডিআর, সঞ্চয়ী জামানত ও বিনিয়োগ থেকে আয় দেখানো হয়েছে।  

২০১৪ সালের হলফনামায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তার কোনো ঋণ নেওয়ার তথ্য ছিল না। তবে ২০১৮ সালের হলফনামায় ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৮ টাকা ঋণ নেওয়ার তথ্য দেখা যায়। এবার ইসলামী ব্যাংকের বান্দরবান শাখা থেকে ৩০ লাখ ৮১ হাজার ৯৭০ টাকার ঋণ দেখানো হয়েছে।

২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রীর নামে থাকা স্বর্ণালঙ্কারের দাম ৫ লাখ ও ৪ লাখ টাকা দেখানো হয়েছিল। এবারও একই দাম দেখানো হয়েছে। তার বার্ষিক আয় ২০১৪ সালে ছিল ৪৫ লাখ টাকা এবং ২০১৮ সালে ছিল ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা দেখানো হয়েছে। গত ১০ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে কয়েকগুণ।

৬ বারের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুরের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৪ সালে ছিল ২ কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার সম্পদ ১০ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তার স্থাবর সম্পত্তি ২০১৪ সালে ছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার এবং ২০১৮ সালে ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার। এবার ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।  

এবারের হলফনামায় বান্দরবান পৌরসভা এলাকায় তার ৬ তলা করে ২টি ভবনের দাম যথাক্রমে ৩ কোটি ৫০ লাখ ও ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। ২টি বাস, ২টি জিপ ও ১টি প্রাইভেটকারসহ ৩ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পত্তি দেখানো হয়েছে।

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল এ ৫ বছরের ব্যবধানে বীর বাহাদুর উশৈসিং ও তার স্ত্রীর বাৎসরিক আয় বেড়েছে। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে, কমেছে ঋণের পরিমাণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।