ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নতুন ভোটার: ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের দৌরাত্ম্য কমানোর উদ্যোগ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
নতুন ভোটার: ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের দৌরাত্ম্য কমানোর উদ্যোগ

ঢাকা: নতুন ভোটার কার্যক্রমে উপজেলা পর্যায়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের দৌরাত্ম্য কমাতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য নির্বাচন কর্মকর্তার হাতেই থাকছে সর্বময় ক্ষমতা।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন ভোটার আবেদন করলে তা সার্ভারে আপলোড করেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। অনেক সময় তাদের অবহেলা বা অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে এ কাজটিতে সময়ক্ষেপণ করা হয়। উপজেলা কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া এ কাজটি আর করা যাবে না। এতে কোনো অনিয়ম হলে জবাবদিহিতা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই।

ইসির জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) অনুবিভাগের তথ্য ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী অনলাইনে (services.nidw.gov.bd) আবেদন করেন। আবেদনের পর আবেদনকারী নিবন্ধনের জন্য উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত হলে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার সিএমএস (কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনুমোদন দেন। পরে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আবেদনকারীর ডেমোগ্রাফিক ডাটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড পূর্বক বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। পরে প্রুফ রিডার প্রুফ করেন। তখন উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা নিজ আপলোডার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ডাটা আপলোড দেন।

পূর্বে সিএমএসের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া আবেদনকারীর ডেমোগ্রাফিক ডাটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা সম্ভব হতো না। বর্তমানে Bio-Enroll সফটওয়্যারের মাধ্যমে উপজেলা/থানা অপারেটর প্রয়োজনবোধে ডেমোগ্রাফিক তথ্য ডাউনলোড করতে পারে এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অনুমোদন দরকার পড়ে না। এক্ষেত্রে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক ডেমোগ্রাফিক তথ্য ডাউনলোড করার আগে অথবা পরে অবশ্যই অনুমোদন নিতে হবে।

অনুমোদন ব্যতীত কোনো তথ্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার আপলোডার অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা যাবে না। অনুমোদন দেওয়ার আগে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অবশ্যই আবেদনকারীর সব তথ্য যথাযথভাবে যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে এনআইডি সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রম ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতেও সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে এনআইডি সার্ভারের ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড যেন না হারায় বা কেউ চুরি করতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে বলা হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে কারো ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড চুরির মাধ্যমে কোনো অপকর্মের ঘটনা ঘটলে সে দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।