ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়ল সুপ্রিম পার্টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়ল সুপ্রিম পার্টি

ঢাকা: অপরের সম্পত্তি দখল করে দলীয় কার্যালয় বসানোয় নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়ল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দলটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেন শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী ও তার ছোট দুই বোন।

 

তাদের অভিযোগ, বিএসপি প্রধান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বড় ভাই হিসেবে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন এবং সম্পত্তি দখল করতে দলটির কার্যালয় বসিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ বিষয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, যেসব দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, তার মধ্যে ১২টি দল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল। এর মধ্যে চার দলের মাঠ পর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ে সঠিক হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে চারটি দলের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। তারা তদন্ত করলে দুটি দল চূড়ান্তভাবে বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যায়। আমরা তাদের নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ আহ্বান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিই।

তিনি বলেন, আইনে শর্ত হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয় অফিস, ২২ জেলা অফিস ও ১০০টি উপজেলা অফিস থাকতে হবে। এই শর্ত যারা পূরণ করেছে তারাই বাছাইয়ে টিকেছে।

এই কমিশনার বলেন, সম্পত্তি দখল করার বিষয়টি আদালতের বিষয়। সেটা তারা দেখবেন। আমাদের আইন অনুযায়ী নিজস্ব বা ভাড়া অফিস হলেও চলবে। যে অভিযোগ আছে, আরও যদি অভিযোগ আসে, সে অভিযোগ আবার তদন্ত করব। দুপক্ষের বক্তব্য শুনব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি আরও বলেন, এখনো আমরা তো চূড়ান্তভাবে কাউকে নিবন্ধন দিইনি। যেসব অভিযোগ আসছে, বা আরও আসবে, সেগুলো আমরা গণ শুনানি করব। অভিযোগ দেওয়ার জন্য ২৬ জুলাই পর্যন্ত সময় আছে। শুনানিতে যদি দেখা যায় শর্ত পূরণ করেনি বা অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তো নিবন্ধন পাবে না। এ ছাড়া যদি উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্ট দেয় কমিটিগুলো, ডিসিপ্ল্যানারি অ্যাকশন হবে। অভিযোগ সত্য হলে নিবন্ধন পাবে না। এ জন্য আরেকটা তদন্ত না করে তো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই এমন দলকে নিবন্ধন দেওয়া তালিকা রাখা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা পারসেপশনাল সমস্যা আছে আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাঝে... মনে করেন একটা দলের অনেক পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটিজ আছে, কিন্তু অফিস নেই তাহলে তো নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনে যদি থাকত- কতটি সভা করেছে, আন্দোলন করেছে, কতটা পোস্টার করেছে, কতটি বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে, তাহলে বলা যেত। কিন্তু আইনে তো আছে একটা কেন্দ্রীয় কমিটি, ২২ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কার্যালয় থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।