সিলেট: প্রথমবার ভোট, তাও ইভিএম মেশিনে। তাই প্রথম ভোটের অনুভূতিই যেন আলাদা সায়মা ফারিহা তাহসিনের।

বুধবার (২১ জুন) সিলেট সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডের চান্দুশাহ রহ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন সায়মা ফারিহা তাহসিন।

ভোট দেওয়ার পর হাত উচিয়ে দেখালেন অমোচনীয় কালির দাগ খচিত আঙুল। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে খুব ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর, স্মোত একটি প্রোসেস। আমার মনে হয়েছে, আগের প্রোসেস থেকে এখন ইভিএম পদ্ধতিতে অনেক স্বচ্ছ ভোট হয়। আগে অনেক কথাবার্তা শুনেছি স্বচ্ছভাবে ভোট দেওয়া যেত না। এখন খুব সুন্দর প্রক্রিয়ায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি।

একইভাবে নগরের ২২নং ওয়ার্ডের নতুন ভোটার মারুফা আক্তার বলেন, আমি ফাস্ট ভোট দিলাম। এজেন্টরা অনেক হেল্প করেছেন। প্রথমে ভোট দেওয়ার আগে ভয় কাজ করছিল। পরে ভোট দিয়ে শঙ্কা কেটে গেছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া খুবই সহজ মনে করেন তিনি।

নগরের ৩৬ নং ওয়ার্ডের ফারিহা তাসনিম বলেন, ব্যালটের ভোট থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনেক ভালো। প্রথমবার ভোট দিয়ে অনেক ভালো লেগেছে।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক। বিশেষ করে নতুন ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে খুশি। তবে বয়স্ক নারীরা ভোট দিতে গিয়ে সময় নিচ্ছেন। এ তুলনায় পুরুষরা দ্রুত ভোট দিতে পারছেন।

পঞ্চমবারের মতো ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১৯০ কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, মো. শাহ জাহান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুল হানিফ।

এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২ টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৪টি কক্ষে ভোট দেবেন ৪২টি ওয়ার্ডের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার। এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ১৯০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৩৬৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ৭৩৪ জন পুলিং অফিসার। কেন্দ্রগুলোতে স্থাপিত ১ হাজার ৭৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ২ হজার ৬০০ পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে এবং ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

 বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ