ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকবেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
নির্বাচন নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকবেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী কথা বলছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

ঢাকা: নির্বাচন নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকবেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দলীয় মনোনয়ন অনেকেই চায়। একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যিনি সংসদ সদস্য আছেন, তিনি আবার আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। একই ব্যক্তি পেতেও পারেন, এটি দলের সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারত বা বাংলাদেশে, সবখানেই সমস্যা আছে, কোথাও একটু বেশি কোথাও একটু কম। আমাদের এখানে আগে নির্বাচনে অনেক ধরনের নাশকতা হতো, মারামারি হতো। কিন্তু এখন একটা সহনীয় জায়গায় থাকবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। এ রকম বিতর্ক থাকবেই। তবে বিতর্ক কমানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত। নির্বাচনে সংঘাত আগের তুলনায় কমেছে। আগে তো মারামারি করে সবাইকে বের করে সিল মেরে দেওয়া হতো। ১০৯ শতাংশ ভোট পেয়েও পাস করেছে। ওই জায়গা থেকে তো আমরা বের হয়েছি। তারপরও আমাদের বিতর্ক আছে। তবে অর্জনগুলো স্বীকার করতে হবে।  

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে তারা কথা বলেছেন। জাতিসংঘ এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রভাবশালী দেশগুলো সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছে যাতে এ সমস্যাটার দ্রুত সমাধান হয়। পৃথিবীর এখন পরিবর্তিত অবস্থার কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তায় কিছুটা তারতম্য হতে পারে, সে বিষয়ে তারা সচেতন আছেন। এ বিষয়টা তারা গুরুত্ব দেয়, সেজন্যই তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিজিট করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আইনগত সহায়তা এবং তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তারা আলোচনা করছেন।

মন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে কোনো বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমাদের এখানে মানবাধিকারের কী অবস্থা, আমাদের সেফটি সিকিউরিটি কেমন সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগে এক সময় ঢাকার রাস্তায় সন্ধ্যার পর কোনো মেয়ে বের হতে পারত না। এখনকার অবস্থা ভিন্ন, এই পরিবর্তনের কারণ কী তারা জানতে চেয়েছে। আমি বলেছি, এটা শুধু একটি নির্দেশনা বা আপনা আপনি হয়ে যায়নি। সেসব অজর্নের জন্য আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর অনেকগুলো টেলিভিশন চ্যানেল আসায় আমাদের অনেক ছেলেমেয়ে সাংবাদিক হতে পেরেছে। তারা শিল্প-সংস্কৃতিচর্চা করার সুযোগ পেয়েছে। যে ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা হচ্ছে তার মাধ্যমে সবাই জ্ঞান, সমৃদ্ধি ও তথ্য-উপাত্ত আরও অনেক বেশি পাচ্ছে।

ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। জানুয়ারি মাসে আমরা প্রথম মিটিং করেছি। সেখানে ডেঙ্গু মোকাবিলায় যেসব প্রস্তুতি দরকার তা নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ৫০ লাখ লোকের দেশ, সেখানে দেখা গেছে গতবার আমাদের চেয়ে তাদের আক্রান্ত বেশি, মালয়েশিয়া আড়াই লাখ আক্রান্ত ছিল, ফিলিপাইনে তিন লাখের কাছাকাছি ছিল।

তিনি বলেন, গতবারের পরিসংখ্যানটা আমার কাছে এখন নাই। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে দেখাতে পারি বাংলাদেশের সফলতা সবার ওপরে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, কিছু মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও আমাদের সমসাময়িক যেসব দেশ আছে সেগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।